॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আমাদের অনুন্নত নামের তকমা ঘুচিয়ে উন্নয়শীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। তবে এখনও আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন এই সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যেও সরকার সমাজের সর্ব পর্যায়ে যেমন উন্নয়ন করছে তেমনি ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষে কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ এবং দূরারোগ্য রোগীদের চিকিৎসার খরচ প্রদানের মাধ্যমে সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ¯্রােতের সাথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। তিনি সরকারের পাশাপাশি সামাজিকভাবে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সমাজের বিত্তবানদেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সোমবার (২ জানুয়ারী) সকালে “উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজ সেবায়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসের সুচনা করেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
পরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা বিনতে আমিন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও সমাজ বিভাগের আহবায়ক প্রবর্তক চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক ওমর ফারুক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাহলেই এদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আলোচনা সভা শেষে রাঙ্গামাটি জেলার ১৭১ দুস্থ পরিবার ও ১৭১ জন গরীব শিক্ষার্থীর মাঝে জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে ১২ লক্ষ টাকার অনুদান ও পৌরসভার আওতাধীন ১১৪টি পরিবারের বিভিন্ন স্কীমের মাধ্যমে ৫৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়।