ধাপে ধাপে পাহাড়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়ার আওতায় আসবে: এমপি তালুকদার

412

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, দেশ ডিজিটালায়নের এই অভিযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামও পিছিয়ে থাকবে না। ধাপে ধাপে পাহাড়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই পূর্ণাঙ্গভাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, প্রধানপ্রন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার হলো প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের আর সকল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিতে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেই গতি ধরতে চায়; এই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালুর নির্দেশ দিয়েছেন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলতে নানামুখি প্রকল্প হাতে নিয়ে নিজ তত্ত্ববধানে তা বাস্তবায়ন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তাই বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। রাঙামাটি জেলার ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম সিস্টেম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি এই মন্তব্য করেন।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙামাটি জেলাপরিষদের আয়োজিত এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমপি স্কুলের শিক্ষকদের হাতে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমগুলো তুলে দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন’ কম্পোনেন্ট এর মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সরঞ্জাম বিতরণকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সুবির চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য আসমা বেগম, সদস্য আব্দুর রহিম, রাঙ্গামাটি জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিনয় চাকমাসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়্যারমান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সেক্টরে উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাকে সহযোগীতা করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে। আর পেছনে পড়ে থাকবে না।

অংসুই প্রু আরো বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানান সমস্যায় জর্জরিত। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো এমিপওভুক্তি হয়নি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনটির বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর হচ্ছে। কিন্তু এমপিও ভুক্তি হয়নি। শিক্ষক নিবন্ধন বাধ্যতামুলক হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গভীর সঙ্কটে পড়েছে। সমতল অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকরা যোগদান করে না অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চল থেকে নিবন্ধন করা শিক্ষকের সংখ্যা কম।