নজিরবিহীন মন্দার দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব: জাতিসংঘ

727

করোনা ভাইরাসের মহামারিকে বর্তমান বিশ্বের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি সতর্ক করেছেন, এটি বিশ্বকে এমন ধরনের মন্দার মুখে ঠেলে দিতে পারে যা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) এসব শঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

অ্যান্তোনিও গুতেরেসনিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) করোনা ভাইরাসের আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সে সময় গুতেরেস বলেন, ‘জাতিসংঘ গঠিত হওয়ার পর থেকে কোভিড-১৯ এর মতো এতো বড় পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি দেশগুলোকে। করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সমাজগুলোকে একেবারে গোঁড়া থেকে আঘাত করছে। জীবন কেড়ে নিচ্ছে, মানুষের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে।’

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এবং এ মহামারির অবসান ঘটাতে অবিলম্বে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সংহতির মধ্য দিয়েই কেবল দৃঢ় ও অনেক বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। রাজনৈতিক খেলা ভুলে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে মানবজাতি এখন হুমকির মধ্যে আছে।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে আভাস দেওয়া হয়েছে, করোনার কারণে বিশ্বের আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারে।