॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটির নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির সীমান্তবর্তী দূর্গম পক্ষিমুড়া এলাকার দূরছড়ী গ্রামে ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের দুই কর্মী নিহত এবং অপর এক সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে সাড়ে ৭টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দূর্গম পক্ষিমুড়া দুরছড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে এই বন্দুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নিহতরা হলো, রবি কুমার চাকমা (৬৫) ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল (৫২)। এ সময় রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন (পোষ্ট পরিচালক) আহত হয়।
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিন ইউপিডিএফ সদস্য রবি কুমার চাকমা (৬৫), শান্ত চাকমা ওরফে বিমল (৫২) ও রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন (৩২) সেখানের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলো। এই সময় প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলায় রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা (বিমল) মারা যায়। তিনি আরো জানান, আহত রহিন্তু চাকমা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এই হামলাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে আখ্যায়িত করে হত্যাকান্ডের জন্য ইউপিডিএফ
গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছেন অংগ্য মারমা। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরী হয়। সেখান থেকে দু’জনের লাশ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার বিরাট অঙ্কের চাঁদাবাজি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়তই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে না।