॥ নানিয়ারচর প্রতিনিধি ॥
আইন হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে কাপ্তাই হ্রদের পাড় দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রবণতা চলছেই। এই প্রবণতা এবার শহর ছেড়ে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এমনই একটি ভূমি দখলের ঘটনা নানিয়ারচর উপজেলা সদরের নবনির্মিত সেতু সংলগ্ন এলাকায় সবার দৃষ্টিকটু ঠেকছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অবৈধ দখলের বিষয়ে দখলদার খোকন দাশকে এর আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও কিছুদিন থেমে থেকে তিনি সেখানে আবারও জোরেসোরে বাড়ি নির্মাণ করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ একই ব্যক্তি নানিয়ার মডেল মসজিদের পাশে সরকারি হুকুম দকল করা জমিতেও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে দিব্যি চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। অথচ এই জায়গার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের ক্ষতিপুরণ দিয়ে তা সড়কের জন্য বরাদ্দ করে।
নানিয়ারচর উপজেলায় নবনির্মিত চুণিলাল সেতু সংলগ্ন এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, জনৈক খোকন দাশ হ্রদের পাড় ঘেসে অবৈধভাবে গৃহ নির্মাণ করছেন। সেখানে কর্মরত (প্রকাশে অনিচ্ছুক) একজন নির্মাণ শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগে তিনি এখানে ঢালাইয়ের কাজে এসেছেন। জায়গার মালিকানা বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেলো শুকনো মৌসুমে এই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে তা নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। বিষয়টি নিয়ে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তৎপরতায় ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখন প্রশাসনের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নানিয়ারচর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার আমিনুল এহসান খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানলাম। এবিষয়ে স্থানীয় হেডম্যান কার্বারীদের সাথে কথা বলে দেখব। জায়গাটি কাপ্তাই লেকের কিনা যাচাই বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা বলেন, কাপ্তাই লেকের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করতে আমরা নিষেধ করেছি। পরবর্তিতে উপজেলা প্রশাসন ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত করে দেন। তবে পূনরায় কিভাবে তিনি ভবন নির্মাণ করছেন তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, খাস জমিতে কেউ তো ভবন নির্মাণ করতে পারে না। এখানে অনুমতির ও একটা বিষয় থাকে। সে কোন রকম অনুমতির জন্য আমাদের কাছে আসেনি।
উপজেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে কিভাবে ভবন নির্মাণ করছেন জানতে চাইলে খোকন দাশ কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে চলমান ভবন নির্মাণ কাজটি তার বলে স্বীকার করেন খোকন দাশ।