নানিয়ারচরে অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব বাইক চালক আল আমিন

405

নানিয়ারচর প্রতিনিধিঃ

রাঙামাটির নানিয়ারচরে অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বাইক চালক আল আমিন। আত্বীয়ের দেওয়া জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করায় অন্যের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে ধারনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

রোববার রাতে উপজেলার ডাকবাংলা এলাকায় হঠাৎ আগুনে পুড়তে দেখা যায় বাইক চালক আল আমিনের ঘর। এতে এলাকাবাসী ছুটে এসে আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো ঘর। আশেপাশে আর ঘর না থাকায় আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি।

ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার, নানিয়ারচর সেনা জোনের বিশেষ একটি টিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এবিষয়ে ফজলুর রহমান জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকবে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন।

এই ঘটনাটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা অন্য কোন কারণে হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। পুলিশি তদন্ত শেষে এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আল আমিন জানান, আমি ভাড়ায় চালিত একটি মোটর সাইকেল চালিয়ে সংসারের চাহিদা মেটায়। ঘরে অন্যান্য জিনিসপত্রের সাথে কিস্তিতে তোলা ২০হাজার টাকা সংরক্ষিত ছিল। আগামীকাল এক আত্বীয় থেকে আরো ২০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি পুরাতন বাইক কেনার কথা ছিল। তিলে তিলে গড়া সংসার আমার পুড়ে শেষ।

এবিষয়ে আল আমিন আরো জানায়, বেশ কিছুদিন স্থানীয় মো. জামাল, প্রকাশ জামাল পিসি এই জমিটি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আজ বিকালে সে ও তার সন্তানরা (ফারুক, কবির ও রফিক) মিলে আমার এই জায়গায় জোর করে খুটি গেড়ে দখলের চেষ্টা করে। এতে আমার ফুফু (মনোয়ারা বেগম) বাদী হয়ে নানিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতে প্রতিবাদ করলে তারা আমার ফুফু, তার সন্তান ও পুত্রবধূদের এবং আমাকেসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তারা এই ঘর ভেঙে না নিলে বিভিন্ন রকম ক্ষতি করারও হুমকি দেয়।

অগ্নিকান্ডের বিষয়ে আল আমিন জানায়, এঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জামাল পিসি ও তার ছেলেরা অগ্নিকান্ডটি ঘটাতে পারে বলেও ধারনা করছে এই যুবক। এবিষয়ে জামাল পিসির সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তার ছেলে মো. ফারুক (৩০) কে ফোনে কল করেও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।