নানিয়ারচরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকের উপর অতর্কিত হামলা

454

।। ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ।।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানিয়ারচরে ৬জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে অপর প্রার্থীর কর্মীরা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়ি পুর্নবাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পরে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে বিজয়ী এবং বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এবিষয়ে আব্দুল মালেক বলেন, ফলাফল ঘোষণার পরে আমি আমার নির্বাচনী অফিসে যাই। সেখানে জানতে পারি টিউবওয়েল প্রতীকের মোঃ শহিবুল দলবল নিয়ে আমার অফিসের দিকে আসছে। তখন আমি বাইরে গিয়ে দেখি আমার কর্মী পল্লি চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ মাটিতে পড়ে আছে। শহিবুল ও তার কর্মীরা এসময় রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের চলা দিয়ে নুর মোহাম্মদ (৩৬) মোঃ দুলাল (৩০), হুয়ায়ুন (৩০), সাকিব (১০) ও সুফিয়ান নামের এক কিশোরকে বেদম পেটানো শুরু করে।

তিনি আরো জানান, প্রার্থী শহিবুল ইসলাম, মোঃ মহিবুল ইসলাম (প্রার্থীর ভাই), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক তোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনদাদুল, সমর্থক লুৎফর, মোঃ কবির হোসেন, যুবলীগ নেতা পলাশ (ভাণ্ডারী), মোঃ হালিম, মোঃ হাফিজুল, মোঃ হাকিম, মোঃ ফারুক ও মোঃ আব্দুল্লাসহ বেশ ক’জন এই হামলা চালায়। এসময় তারা ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ বাদশা মিয়ার ১২বছরের ছেলে মোঃ সুফিয়ানকেও ছাড়েনি।

নানিয়ারচর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আলতাফ হোসেন জানান, সন্ধ্যায় ৬জন রোগী এসেছে। ৪জনের অবস্থা স্বাভাবিক। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিব। বাকি ২জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে রেফার করা হবে।

এবিষয়ে নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নানিয়ারচর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিষয়ে জানান, এঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকে কঠিন শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে।

এবিষয়ে কথা বলতে মোঃ শহিবুলকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।