নানিয়ারচরে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের অভিযোগ

432
।। মাহাদি বিন সুলতান ।।
নানিয়ারচর উপজেলায় শশুর-শাশুড়ি ও দেবর কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৭ই মে) থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল এলাকার ওমান প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী রিনা আক্তার (২৭)। গত শুক্রবার (৬ই মে) বিকালে তার শশুর-শাশুড়ি ও দেবর মিলে সামান্য বিষয়ে বাকবিতণ্ডা করে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে রিনা আক্তারের কন্যা আসমা (৭) ও লুৎফা (২) কে নাস্তা খাওয়ানোর সময় বিকেলে নাস্তা কেন খাওয়াচ্ছে এনিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এবং তার ছেলের কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করছে উল্লেখ করে গালিগালাজ শুরু করে। এবং তার এক বাচ্চাকে আছাড় মারতে চেষ্টা করে। এসময় রিনা আক্তার কথার প্রতিবাদ করলে তার শশুর মোঃ হাসান, শাশুড়ি আমেনা বেগম, দেবর ছগির হোসেন ও বুলবুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। পরে সে প্রতিবেশীদের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
রিনা আক্তার জানায়, ১০বছর আগে হাসপাতাল এলাকার কবির হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় রিনার। ৭বছর ও ২বছর বয়সী ২টি সন্তান রয়েছে। ওমান প্রবাসী স্বামী রিনা আক্তারকে তার পরিবারে রেখে যান। শুরু হয় রিনা আক্তারের মানসীক যন্ত্রণা। যৌতুকের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে তার শশুড়-শাশুড়ি তাকে কোটুক্তিমূলক কথা বলে ও গালিগালাজ করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রিনা আক্তারের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একটা পরিক্ষা করে বাকি সেবা দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান জানান, প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রিনা আক্তারের দেবর ছগির হোসেন জানান, আমি কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় আমার মায়ের সাথে ঝগড়া করতে দেখি। এসময় আমি মানা করলে তার মেয়েদের নিয়ে সে থানার দিকে রওনা হলে আমি মেয়েকে তার কোল থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এসময় প্রথমে সে আমাকে একটু থাপ্পড় দিলে আমিও তাকে একটি থাপ্পড় দেই।