স্টাফ রিপোর্টার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : নৌমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটির সংবাদকর্মীরা যে তুচ্ছ, ট্যুরিজম সামিটে তা বুঝিয়ে দিলেন এমপি আব্দুল লতিফ। গতকাল সোমবার রাঙ্গামাটিতে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টি কৃর্তক “ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম সামিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন নৌ- পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি। দাওয়াতপত্র না পেলেও অতি আগ্রহে রাঙ্গামাটির গণমাধ্যমকর্মীরা অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের রোশানলে পরেন। সোমবার বেলা এগারোটার সময় রাঙ্গামাটি শহরের আরন্যকে এই ঘটনা ঘটে। সংসদ সদস্যের অসৌজন্যমূলক আচরনের প্রতিবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন সাংবাদিকরা। পরে রাঙ্গামাটি ব্রিগেড কমান্ডারের অনুরোধ এবং পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির কথা ভেবে জাত-পাত ভুলে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান স্থলে যোগদেন। কারণ তাদের থাকতে হয় মিলিটারি নিয়নন্ত্রিত পার্বত্য চট্টগ্রামে। তবে রাঙ্গামাটির পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোও সাংসদের আচরনের নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।
জানাগেছে, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টি কৃর্তক “ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম সামিট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি গতকাল সোমবার রাঙ্গামাটিতে আসছেন।
তার সফরসূচী উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে একটি অবহিতকরণপত্র দেওয়া হয়েছে রোববার। কোনো প্রকার আমন্ত্রণ পত্র না দেওয়ার পরেও নৌ মন্ত্রীর প্রোগ্রাম কাভারেজ করার মানসে সোমবার সকাল সাড়ে দশটার সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা রাঙ্গামাটি শহরের আরন্যকে যান। এসময় আর্ন্তজাতিক ট্যুরিজম সামিট অনুষ্ঠানের শুরুতে রাঙ্গামাটির সাংবাদিকরা ফটো ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ নিজেই স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। একজন সংসদ সদস্যে এহেন আচরনে প্রথমে হতভম্ব হয়ে গিয়ে রাগে-ক্ষোভে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন রাঙ্গামাটির সাংবাদিকরা।
এমপি আব্দুল লতিফের এই ধরনের আচরনের নিন্দা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বড়ূয়া, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, রাঙ্গামাটি রিপোটাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন।
অনুষ্ঠানে অংশনেয়া স্থানীয় শিল্পীরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিল্পী জানান, তাদের সাথেও চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দরা খুবই অসৌজন্য মুলক আচরণ করেছেন । প্রচন্ড রোদের মধ্যে তাদের অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। খাবার পানি চাইলেও তারা ঠিক মতো খাবার পানি সরবরাহ করেনি। তারা নিজেদের জন্য ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করলেও শিল্পীদের জন্য কোন খাবারের আয়োজন করেনি। দুপুর বেলায় শিল্পীরা বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়েছেন। তাদের জন্য কোন খাবারের ব্যবস্থা করেনি।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান। সূত্র- অন্য মিডিয়া, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬