পারিবারিক সু-শিক্ষাই পারে অসাম্প্রদায়িক জাতি তৈরি করতে। কারণ পরিবার হচ্ছে একটি শিশুর প্রথম পাঠশালা। আর এই পাঠশালার শিক্ষকরা হন শিশুর মা-বাবা। যদি মা-বাবা তার শিশুকে জন্মলগ্ন থেকে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে তাহলে আর সমাজে জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের জন্ম হবে না। অথবা নাসিরনগরের মতো এ ধরণের ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম হবে না।
জেলা পরিষদ বৃত্তি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও বৃত্তি বিতরণকালে জাতীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এ বলেন।
রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সোমবার অনুষ্ঠিত এই বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন ও এ এসপি (সদর সার্কেল) মাহমুদুন নবী।
জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর’র সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিণয় চাকমা, কুতুকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক ডেভিট চাকমা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে যা কিছু করার দরকার তা আমি করে যাবো। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে এ সরকার ২৬ হাজার বেসরকারি স্কুলকে সরকারিকরণ করেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের হস্তন্তিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উন্নয়নে জেলা পরিষদ অতুলনীয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য এমপি চিনু আরও বলেন, আমাদের সব সময় একট কথা শুনতে হয় সেটি হলো শিক্ষক সংকট। তিনি বলেন, এ সঙ্কট দূরীকরণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা খাতে শিক্ষক নিয়োগের পর যে আসনগুলো পড়ে থাকে সেগুলো যদি সাধারণ খাতে নিয়োগ দেয়া যায় তাহলে শিক্ষক সংকট দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।
এমপি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে গেলেও এর কিছু অপব্যবহারের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যাবহার বন্ধে পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এসময় তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তথ্য প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন দেশ এগিয়ে যাবে অন্যদিকে নৈতিক অবক্ষয় রোধ হবে।