॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন ক্রীড়াবান্ধব মানুষ। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক খেলা সম্বন্ধে খোঁজখবর নেন। তিনি নামাজে বসে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য দোয়া করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেক উপজেলায় স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিলেট ও কক্সবাজারে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। মন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় একটি ক্রীড়া শিক্ষা একাডেমি বা ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাফ ফুটবল বিজয়ী বাংলাদেশের প্রমিলা পাঁচ বীর পাহাড়ি খেলোয়াড় ও একজন নারী সহকারী কোচকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, সাফ শিরোপা জয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের খেলোয়াড়রা ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। বিকেএসপি’র আদলে পার্বত্য অঞ্চলে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে এখানকার ছেলেমেয়েরা আরো ভালো করতে পারবে। মন্ত্রী বলেন, তিন জেলা পরিষদের সমন্বয়ে মেয়েদের জন্য ফুটবল কোচিং এর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় মেয়েদের প্রশিক্ষণ প্রদানে মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
সাফ শিরোপা বিজয়ী ফুটবলার রুপনা চাকমা (জার্সি নং-১), মনিকা চাকমা (জার্সি নম্বর-৬), আনাই মগিনী (জার্সি নং-১৬), ঋতু পর্ণ চাকমা (জার্সি নং-১৭), আনুচিং মগিনী (জার্সি নং-২১) ও সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।