পার্বত্য কালো চুক্তি বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমঅধিকার আন্দোলনের মানববন্ধন

486
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাসের সামনে পার্বত্য কালো চুক্তি বাতিল দাবীতে  ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মানববন্ধনে
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাসের সামনে পার্বত্য কালো চুক্তি বাতিল দাবীতে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মানববন্ধনে

ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : পার্বত্য কালো চুক্তি বাতিল ও ৯দফা বাস্তবায়নের দাবীতে আজ ২রা ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমঅধিকার আন্দোলনের মানববন্ধন ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা জনাব আবু নাছের মো. রহমত উল¬াহ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের আন্দোলনকারী ছাত্র ও যুব নেতা জনাব এ্যাডভোকেট মো. আলম খান। সমাবেশে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন- ঢাকাস্থ সমঅধিকার আন্দোলন কর্মী খান মজলিস। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমঅধিকার নারী নেত্রী মিসেস রোজিনা বেগম, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন নেতা লোকমান হোসেন ও সমঅধিকার যুব আন্দোলন নেতা এম. সালাউদ্দিন।

সভাপতির ভাষনে সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন- দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কথা বলার। এ সমস্যা শুধু পার্বত্যবাসী বাঙালিদের নয়। এটি একটি জাতীয় সমস্যা। জাতীয়ভাবেই এই পার্বত্য কালো চুক্তি বাতিলের দাবীকে শানিত করতে হবে। এজন্যই পার্বত্য বাসীর মুক্তির সনদ ৯দফা পেশ করে সমঅধিকার আন্দোলন সকল পর্যায়ে জনমত গড়ে তুলছে”।

সমাবেশে বক্তারা বলেন- সরকারের দুইজন মন্ত্রী আদিবাসী নাম প্রচারের জন্য বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে সাংঘষিক। তথাকথিত ককাস গঠন করে জাতীয় সংসদে আদিবাসী নিয়ে প্রস্তাব পেশ করা হলে তিন পার্বত্য জেলায় এর বিরুদ্ধে লাগাতার অবরোধ, হরতাল সহ কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সন্তু লারমারা করুনা লঙ্কার ভিক্ষুকে জুমল্যান্ড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষনা দিয়ে, ৫টি রাষ্ট্রে দূতাবাস খোলে, মিজোরামে চাকমা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছে তারা তথাকথিত শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সকল অস্ত্র-সস্ত্র সহ বাংলাদেশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করে নাই। বিশ্বের কোথায়ও আত্মসমর্পনকারীদেরকে এত সম্মান দেওয়া হয় না। তারা সমাজে ভীরু কাপুরুষ এবং মীর জাফর বলে চিহ্নিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে আত্মসমর্পন কারীদেরকে একটার পর একটা ছাড় দিয়ে চুক্তির ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন- পাহাড় থেকে যাবতীয় বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার এবং পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শত ভাগ বাস্তবায়ন করতে গেলে সেখানে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর ক্রস ফায়ারে পরে অনেক পার্বত্যবাসী উপজাতি ও বাঙালীকে জীবন দিতে হবে। সন্তু লারমার দাবী মোতাবেক পার্বত্য চুক্তির রোড ম্যাপ ঘোষনার আগে উপজাতীয় নেতাদেরকে কিভাবে যাবতীয় অস্ত্র-সস্ত্র, গোলাবারুদ সরকারের কাছে জমা দিবে তার রোড ম্যাপ ঘোষনা দিতে হবে।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান