পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

339

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

সেনা বাহিনী ও পুলিশকে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজি মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায়। সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। নীরবে নির্যাতন ও চাঁদাবাজিন শিকার খেটে খাওয়া মানুষ। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।

রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পূর্ণিমা চাকমা হত্যার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহা সচিব মো আলমগীর কবির। বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সহ সভাপতি নাদিরুজ্জামান, কাজি জালোয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম, শরিফা খানম প্রমুখ। এ সময় জেলা নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি সাবের আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদত মাওলানা আবু বকর, প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবির, বান্দরবান জেলা সহ সভাপতি রহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

বক্তরা বলেন গত (শুক্রবার) ২৯ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে রাঙামাটিতে ১৯ বয়স বয়সী পূর্ণিমা চাকমা নামে এক কলেজছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিহত হন। এ ঘটনাকে ওই ছাত্রীর পরিবার হত্যাকান্ড দাবি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ছাত্রী জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নং দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বগাহালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে। সে রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি শহরে রাজবাড়ি এলাকায় পাহাড়ি সংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতার বাসায় ভাড়া থাকেন। বর্তমানে ঐ বাসার মালিক আত্মগোপেন রয়েছে। পূর্ণিমা চাকমাকে যৌন হয়রানি ও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ থাকলেও এ ঘটনার জন্য কোন মানবাধিকার সংগঠন বা পাহাড়ি কোন সংগঠন বিচার দাবি বা তদন্ত করেনি। উল্টো প্রভাবশালীদের চাপের মুখে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক কারণে রাজা দেবাশীষ রায়ের স্ত্রী রাণী ইয়ান ইয়ান সহ তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেও রহস্যজনক কারণে পূর্ণিমা চাকমার ঘটনায় নীরব রয়েছে এসব মহল। সন্ত্রাসী পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অপকর্মের বিচার না হওয়ায় পাহাড়ে খুন, গুম, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি বেড়ে চলেছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

বক্তরা পূর্ণিমা চাকমার লাশের সঠিক ময়নাতদন্ত করে, সত্য ঘটনা উন্মোচন করার জন্য জোর দাবী জানিয়ে বাসার মালিক ও হত্যাকারী জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।