ঢাকা ব্যুরো অফিস, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি) : পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ এবং পাহাড়ের বাংলাভাষী জনগনের ভূমির অধিকার হরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবী বাস্তবায়ন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি’র উদ্যোগে আজ শনিবার, সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।, উক্ত কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিরি মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান, যুবতাজ মোস্তাক আহমেদ ভাসানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- গণসংগ্রাম পার্টির আহব্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সমঅধিকার নারী আন্দোলন নেত্রী রোজিনা বেগম, জাতীয় গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি আশরাফ হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু ওলামা লীগের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. ফেরদৌস মানিক প্রমুখ।
সভাপতির ভাষনে জনাব মনিরুজ্জামান- গত ১০ ফেব্র“য়ারী বুধবার, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সংবিধান সম্মত যুক্তি তুলে ধরাতে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তাছাড়া, সন্তু লারমার পক্ষ নিয়ে জেএসএস নেতা উষাতন তালুকদার সংসদে পাহাড়ের বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজী বন্ধের বিষয়ে প্রস্তাব না আনাতে তীব্র অসন্তোষ ও গভীর দু:খ প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি মোস্তাক ভাসানী বলেন- “পার্বত্যবাসী বাঙালী ৩৫ হাজার নর-নারী জীবন দিয়েছে বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫০৯৩ বর্গমাইল ভূমি রক্ষার জন্য। পাহাড়ের বাঙালিদের কবুলিয়ত প্রাপ্ত ও বন্দোবস্তিপ্রাপ্ত দলিলাদি থাকার পর ও অহরহ উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের এক দশমাংশ অঞ্চলের বৈধ নাগরিক হয়েও বাঙালিরা আজ ঘরের মালিক হয়েও ভূমির মালিকানা পাচ্ছে না। জাতির জন্য এটা খুবই অশুভ সংবাদ”। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের ৯ (নয়) দফা দাবীর প্রতি একাত্বতা জানান এবং তথাকথিত বামপন্থী ককাসদের চাপে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাহাড়ের ভূমির দেখভাল করার সিদ্ধান্তকে খুবই আপত্তিকর ও অসাংবিধানিক বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
সমাবেশে আগত নেতৃবৃন্দ বলেন- পাহাড়ে প্রথাগত ভূমি অধিকার ও ব্রিটিশ হিল ট্রাক্স ম্যানুয়েল এক্ট ১৯০০ বাতিল না করাতে অনেক উপজাতি ও বাঙালি মানবাধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। দেওয়ান, খীসা, তালুকদার, হেডম্যান, কারবারী ও চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়ের একাধিপত্য থাকাতে পাহাড়ে নূন্যতম গণতন্ত্র চর্চা হয়না। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পাহাড়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফ নাগরিক জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। পার্বত্যবাসী জনগন এর অবসান চায়।
মানববন্ধণ থেকে বর্তমান জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজী বন্ধের জন্য প্রস্তাব পেশ করতে মাননীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং পার্বত্যবাসী বাঙালীদেরকে ভূমির অধিকার হরনের কোন ষড়যন্ত্র যাতে বাস্তবায়িত না হয় সেজন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়েছে। সমাবেশে সমঅধিকার আন্দোলনের নয় দফা দাবীনামা পড়ে শুনানো হয়।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান