পাহাড়ের খেলোয়াড়রা বরাবরই জাতীয় ক্রীড়াঙ্গণকে সমৃদ্ধ করেছেঃ ক্রীড়া মন্ত্রী

125

॥ আলমগীর মানিক ॥

রাঙামাটিতে তিনটি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, পাহাড়ের ক্রীড়াবিদরা বরাবরই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সম্মৃদ্ধ করে এসেছে। এখনও পার্বত্যাঞ্চলের সন্তানরা দেশের ক্রীড়াঙ্গণে দাপটের সাথে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে নানিয়ারচর, জুরাছড়ি এবং বিলাইছড়ি উপজেলার জন্য পৃথক তিনটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা ক্রীড়া প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। তাঁর ইচ্ছাতেই সমতলের মতো পাহাড়ের ক্রীড়া প্রতিভাগুলো খুঁজে বের করতে আমরা ঘরের কাছে উপযুক্ত খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। দুর্গম পাহাড়ের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পন্ন হলে এখানকার খেলোয়াড়েরা আরো উজ্জীবীত এবং নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাবে। মন্ত্রী বলেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, বরাবরই জাতীয় পর্যায়ে দল গঠনে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবানের খেলোয়াড়দের একটি উল্লেখযোগ্য অবদান থাকে।

রাঙামাটি শহরের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এর প্রকল্প পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ খান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহাম্মেদ।

মন্ত্রী জানান, সরকার প্রথম পর্যায়ে রাঙমাটি সদর, লংগদু এবং কাপ্তাই উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম গড়ে দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাঘাইছড়ি উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায়ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।