পাহাড়ের পর্যটন সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এখানকার অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে: দীপংকর

86

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল। পাহাড়ের এই পর্যটন সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এখানকার অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধশালী হবে তেমনি দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। পাহাড়ের এই পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার নানামুখি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে পার্বত্য শহরগুলোকে আধুনিক পর্যটন নগরীতে পরিণত করার। তবে সে জন্য সবাইকে এর গুরুত্ব বুঝতে হবে এবং পাহাড়ের এই সম্ভাবনার বিকাশ এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এই মন্তব্য করেন। ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রাঙামাটিতে নানা আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ৪ দিনব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়।

বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে পর্যটন মেলার উদ্বোধন শেষে হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক আহবায়ক নিউচিং মারমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শিবলী নোমান, রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ইউনিট ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা প্রমুখ।

সভায় পর্যটন নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা। আলোচনা সভার আগে সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে জেলা কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। পর্যটন মেলায় মোট ৫৫টি স্টল অংশ নিয়েছে।