॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্যত্যন্ত পাহাড়ি জনপদগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র পানি সংকট, এই সঙ্কট মোকাবেলাসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সবাইকে এক সাতে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া পার্বত্য জনমানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন তাদের জন্য আয়বর্ধন মূলক প্রকল্প গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। জাতির পিতা পাহাড়ের এই দুঃখী মানুষদের কথা বিবেচনায় নিয়েই তিন পার্বত্য জেলার জন্য একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে তাকে মনোনীত করায় তিনি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন।
চেয়ারম্যান বলেন, শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ পার্বত্য এলাকায় খাবার পানি পাওয়া যায়না। এমনকি এখানকার মানুষ যারা দুর্গম এলাকায় বসবাস করেন তারা ৩-৪ কিলোমিটার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকেন। তাই পানি দুষ্প্রাপ্যতা নিরসনের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন তুলা, সুগারক্রপ, কফি ও কাজুবাদাম কৃষি প্রকল্পগুলি পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে বলে মত ব্যক্ত করে বলেন, তবে কর্মকর্তাদের আরো মনিটরিং বাড়াতে হবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এর ক্যাপস্টোন ফেলোদের সাথে মতবিনিময়কালে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ফোলোদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা ও মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা সঞ্চালনা করেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব)। সভা শুরুতে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ক্যাপস্টোন ফেলোদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।
সফররত ফেলোগণ চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ূ পরিবর্তন, সড়ক যোগাযোগ, দুর্গম এলাকার জনমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কাপ্তাই হ্নদের উপর ভিত্তি করে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের উপর প্রশ্ন রাখেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য বাস্তবায়ন এসব প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে বোর্ডের পক্ষে উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করেন। ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এর ক্যাপস্টোন ফেলো এবং ফ্যাকাল্টি এন্ড স্টাফ এর পক্ষে মেজর জেনারেল মোঃ রাশেদ আমিন, ওএসপি,আরসিডিএস,এনডিসি, পিএসসি (এলপিআর) বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এর ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে কমান্ডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর প্রতিনিধি দলের প্রধান ০১জন, সাংসদ ৭জন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা) ০৪জন, উর্দ্ধতন মিলিটারী অফিসার (মেজর জেনারেল এবং তৎসম পদমর্যাদা পর্যায়ের আর্মি, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার) ০৩জন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সিনিয়র সংবাদিক প্রধান সম্পাদক/ নির্বাহী সম্পাদক/ এমডি ০২জন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি/নির্বাহী অফিসার/কারখানা মালিক ০৫জন, সিনিয়র জজ/ সিনিয়র উকিল/ সিনিয়র লিগ্যাল প্রাকটিশনার ০২জন, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ০৩জন, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ০২জন, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ০১জন, উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত আইজি পদমর্যাদা) ০১জন, নীতি নির্ধারক পর্যায়ের প্রধান প্রকৌশলী ০১জন, নীতি নির্ধারক পর্যায়ের ব্যাংক ও ফাইনেন্স প্রধান ০১জন, কূটনীতিক (অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক পদমর্যাদা) ০২জন, অন্যান্য স্কলার ০১জন এবং সিনিয়র ডিরেক্টিং স্টাফ ০১জন এবং স্টাফ অফিসার ০২জন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, তথ্য অফিসার মিজ্ ডজী ত্রিপুরা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাগর পাল এবং সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনতোষ চাকমাসহ বোর্ড ও বোর্ডের আওতায় কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।