পুলিশের ‘নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ’

312

॥ শহিদুল ইসলাম হৃদয় ॥
রাঙামাটিতে জেলা পুলিশের ‘নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে রাঙামাটি জেলা পুলিশের ৫৮ টি বিটে একযোগে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিট পুলিশিং সভায় বিট কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ’ সহ সর্বস্তরের জনগন অংশগ্রহণ করে।

রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. ছুফি উল্লাহ রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানাধীন রাঙামাটি শিশু নিকেতন স্কুলে ০১ নং বিটে উপস্থিত হয়ে সকলের উদ্দেশ্য উক্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক ও ১ নং বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সাগর বড়ুয়া, ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রূপসী দাশ গুপ্তা, ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক দে তিনজন কনস্টেবলসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

এ সময় তিনি বলেন, নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বর্তমান সময়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক সচেতনতা, মানবিক মূল্যাবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসন প্রভৃতি মেনে না চলা, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি না পাওয়া, সমাজের নারীদের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করা প্রভৃতির কারণে দিন দিন নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে আমাদেরকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের প্রতি রুখে দাড়াতে হবে, কোন ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে নিকটতস্থ বিট কর্মকর্তা’কে জানাতে হবে অথবা বাংলাদেশ পুলিশের জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ জানাতে হবে। নারীদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা এই সমাজের অংশ, আমরা নিজেদেরকে ছোট মনে করবো না, আমাদের প্রতি কোন অন্যায় সংগঠিত হলে সাথে সাথে পুলিশের সহযোগিতা নিব। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জনগনের পাশে আছে।

মতবিনিময় সভা শেষে রিজার্ভ বাজার ও বনরূপা বাজারে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভায় সাধারণ জনগনকে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সভায় ‘নিরাপদ নারী, নিরাপদ দেশ, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’. ‘নিরাপদ সমাজ গড়ি, নারী নির্যাতন বন্ধ করি’. ‘বন্ধ হোক নারী নির্যাতন, নিশ্চিত হোক দেশের উন্নয়ন’. ‘নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে, আপনার পুলিশ আপনার পাশে’. নিরাপদ দেশ গড়ি, নারী নির্যাতন বন্ধ করি’. ‘নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ করি, নারী বান্ধব দেশ গড়ি’ প্রভৃতি লেখা সংবলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়।