পুলিশ সম্পর্কে জনগণের নীতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করতে কাজ করছে সরকার : রাঙামাটিতে ডিআইজি শফিকুল

486

p.1

আলমগীর মানিক , ২৫ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ’র ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম বলেছেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পরে এসেও বর্তমান সময়ে পুলিশকে দেশের সাধারণ মানুষ ঘৃনা করবে, পুলিশের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা করবে আর দেশের আপামর জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে, এটা কাঙ্খীত হতে পারে না। আমরাতো এই রকম সমাজ প্রত্যাশা করিনি। পুলিশও জনগণের কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে। জনগণ অক্সিজেনের আওতায় থাকার কারণেই তারা বুঝতে পারছেন না পুলিশ কি করছে। মাত্র দুই ঘন্টা যদি পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকে তাহলেই বুঝা যাবে দেশ কিভাবে চলে। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ, তেমনি আমরা মানুষও আমাদেরও মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে ঠিক যেমন জনগণ পুলিশের কাছে নিরাপত্তা ও সম্মান প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন সময়ের প্রয়োজনেই সেই ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিবর্তন করে পুলিশকে প্রকৃত অর্থে সাধারণ মানুষের বন্ধুতে পরিণত করতে এবং পুলিশ সম্পর্কে জনতার নীতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।

মঙ্গলবার রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোড়গোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দিয়ে আমজনতার প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পরিচিত করতেই দেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সমাজ থেকে চলমান সামাজিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করণ এবং অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে হলে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা অন্যতম উপদায়ক। আমাদের চলমান সমাজ ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের কল্যানের জন্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এই ধারাবাহিকতায় সমাজের ভালোমনের রুচিশীল লোকজন নিয়ে কমিটি গঠনকল্পে কমিউনিটি পুলিংশিং ব্যবস্থাকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানোই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। যাতে করে পরবর্তী সময়ে সারাদেশে বিরাজমান এই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে জড়িতরাই অপরাধ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করতে পারে। তখন পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু এই বাক্যটির শতভাগ শত্যতা নিশ্চিত হবে।

কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কমিটিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে ডিআইজি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে পারায় অন্যরকম তৃপ্তি পাওয়া যায়। একজন ভালোমনের মানুষ সবসময় চায় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিতে। আর দেশ প্রেমের অন্যতম উপাদান হলো মানবতা, অতঃপর মানব সেবা। এটা নিয়েই কমিউনিটি পুলিশিংয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

এরআগে ডিআইজি মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুরের দিকে জেলা পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় মিলিত হয়ে জেলার আইন শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান