ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৭ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা এবং জনগণের ভোটাধিকারের আকাক্সক্ষাকে পুরণ করতে ‘শর্তসাপেক্ষে’ বিএনপি পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির শর্ত গুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি, যৌথ বাহিনীর নামে গণগ্রেফতার বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের মুক্তি, নির্বাচনের আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি, ভুইফোড় সংগঠনগুলোকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক না বানানো, লেবেলপ্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির অপেক্ষা থাকা ৫০ লক্ষ ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া।
গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারপাম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএস এম আবদুল হালিম, সংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদ, সহ আইন বিষয়য়ক সম্পাদক এ্যাভভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নিবার্হী কমিটির সদস্য শাম্মী আক্তার, তকদির হোসেন জসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের মতাতম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন সেগুলো বিশ্লেষন করেছেন এবং বোঝার চেষ্টা করেছেন। কর্মীদের আকাক্সক্ষা, প্রত্যাশা প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করে বৃগস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে নকল স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আসছে। সুতরাং বিএনপি শর্ত সাপেক্ষে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচন হওয়ার কথা। এর তিন দিন পর নতুন ৫০ লাখ ভোটার অন্তরভূক্ত হবে। এখানে এ ভোটারগুলো প্রথম বারের মত ভোট দান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ১৫ দিন সময় বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।
রিপন বলেন, ২৩টি পৌর এলাকা থেকে অভিযোগ এসেছে, বিএনপির প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মনোনয়োন কিনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা দাবি করছি একাধিক স্থানে মনোয়ন জমা দেওয়া ও তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যৌথবাহিনী অভিযানের নামে গণগ্রেফতার করছে। তাতে বিরোধী দলের প্রার্থী সমর্থকরা এলাকায় থাকতে পারছেন না। এই গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে অন্যথায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হবে না। ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষকের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
এ সময় তিনি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান