ফকিরাছড়ি শাখা বনবিহারে ১৩তম কঠিন চীবর দান

76

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রবরণা শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় কঠিন চীবর দান এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে পূর্ণার্থীদের মিলন মেলা। বিভিন্ন বয়সী মানুষ উচ্ছাস প্রকাশ করে দুর-দুরান্ত থেকে সমবেত হয় এই মহা পূণ্যানুষ্ঠানে।

জুরাছড়ি সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ৩নং মৈদং ইউনিয়নের ফকিরাছড়ি শাখা বন বিহারে সারারাতব্যাপী দুর-দুরান্ত থেকে আসা নারীরা ২৪ ঘন্টায় ভিক্ষুদের পরিহিত বস্ত্র (চীবর) তৈরি করে এসব বস্ত্র সহ বিভিন্ন দানীয় সামগ্রী ভিক্ষু সংঘের কাছে উৎসর্গ করেন।

বুধবার ফকিরাছড়ি বন বিহারে কঠিন চীবর দান সহ মহাস্থবির বরণ উপলক্ষে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন সুজাতা চাকমা। এ উপলক্ষে ত্রিশরণ সহ পঞ্চশীল প্রার্থনা, কঠিন চীবর দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, হাজার বাতি দান, ফানুস দান, আকাশ প্রদীপ দান সহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সংঘ প্রধান রাঙামাটি রাজ বনবিহার থেকে আগত জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির ধর্মীয় দেশনায়- সারা বিশ্ব সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সুখ শান্তি কামনার লক্ষ্যে প্রতিদিন সকল প্রাণির মঙ্গল কামনা করে মৈত্রী ভাবনা করা সহ পঞ্চশীল পালন করার জন্য উপস্থিত হাজারো পূণ্যার্থীদের উপদেশ দেন। এসময় বিমলানন্দ মহাস্থবির, প্রিয়িতষ্য মহাস্থবির ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন অনুষ্ঠানে আসা পূণ্যার্থীরা বলেন, এই মহান কঠিন চীবর দানের ফলে ইহকাল পরকালর প্রতি বিশ্বাস রেখে পূণ্যরাশি সঞ্চিত হয়। তাই তারা দূর-দূরান্ত থেকে এই পুণ্যানুষ্টানে সমবেত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ৩নং মৈদং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাধনানন্দ চাকমা ও বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি লাল কুমার চাকমা।