ফুটপাত দখল করে সাইনবোর্ড ও নির্মাণ সামগ্রীর জঞ্জালে জনদুর্ভোগ

377

॥ ইকবাল হোসেন ॥
রাঙামাটি শহরের ফুটপাত দখল করে নানাজন নানা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। শহরের ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রীর জটলা দীর্ঘদিনের। নির্মাণ সামগ্রী এবং অস্থায়ী ফেরিওয়ালাদের পসরা পথচারী জন্য বড় বাঁধা। পৌরসভার পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হলেও আবার জঞ্জাল জমে উঠে কদিন যেতে না যেতেই। এমন ফুটপাতে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী পাকা স্থাপনা। সকলের চোখের সামনে এমন স্থাপনা টিকে আছে দীর্ঘদিন যাবত।

শহরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত হোটেল সুফিয়ার পাশে ৩ বছর যাবৎ ফুটপাতের জায়গা দখল করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে রাখা হয়েছে। এই সাইনবোর্ডের কারণে ওই এলাকা দিয়ে চলাচলা করা সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বিষয়ে অনেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করেছেন, কারণ রাস্তার ওই স্থানটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থাকায় ফুটপাত ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হোটেল সুফিয়া তাদের সাইনবোর্ড টি ফুটপাত দখল করে বসানোয় জনসাধারণ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এবিষয়ে রাঙামাটি পৌসভার একটি সূত্র অভিযোগ করেছে, বেশ কয়েকবার তাদেরকে সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলতে বলা হলেও তারা সাইনবোর্ড সরাচ্ছে না।

আগস্ট মাসের জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় শহরের ফুটপাত জঞ্জালমুক্ত রাখার বিষয়ে রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় আইন- শৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত শহরের সুশীল শ্রেণির প্রতিনিধিরা একবাক্যে ফুটপাতে অবৈধ পসরা এবং নির্মাণ সামগ্রী অপসারণে ঘনঘন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে জোর দাবি জানায়। রাঙামাটি পৌরসভাকে এজন্য জেলা প্রশাসন থেকে সাপ্তাহে দুবার ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সহযোগীতা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসক সভাতেই ঘোষণা করেন। এরপর জঞ্জাল কিছুটা কমলেও ফুটপাত নির্ঝঞ্ঝাট করার বিষয়টি পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের আরো কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। সেই সাথে হোটেল সুফিয়ার সাইনবোর্ডের মতো আরো যে সব স্থায়ী স্থাপনা রয়েছে তা অপসারণেও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।