॥ মোঃ ওমর ফারুক ॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাউখালী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে যাচ্ছেন ১০ ভূমিহীন পরিবার। আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মাণাধীন এসব ঘরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, কাউখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং বেতবুনিয়া, ২নং ফটিকছড়ি, ৩নং ঘাগড়া, ৪নংকলমপতি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভুমিহীন পরিবার থেকে উপজেলা কমিটি যাচাই বাচাই শেষে মোট ৬৯ টি ভূমিহীন পরিবারের নামের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে কলমপতি ইউনিয়ন হতে ৫টি ভূমিহীন পরিবার, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন হতে ৫টি ভুমিহীন পরিবার প্রাথমিকভাবে তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। অন্য ২ ইউনিয়নে পরবর্তীতে ঘরের বরাদ্দ আসলে পরিবার নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছে বাছাই কমিটি।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা কাউখালী উপজেলা ৩য় পর্যায়ে সরকারীভাবে যে ১০টি ভুমিহীন পরিবারের জন্য ঘরের বরাদ্ব পেয়েছি তা শুধুমাত্র উপজেলা পর্যায়ের কমিটি যে ১০টি ভুমিহীন পরিবার ৫টি কলমপতি ইউনিয়ন, ৫টি ফটিকছড়ি ইউনিয়নে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তা ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে যে ৬৯টি ভুমিহীন পরিবারের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে বেতবুনিয়া ইউনিয়নে ২১টি ভুমিহীন পরিবার,ঘাগড়া ইউনিয়ন ৮টি ভুমিহীন পরিবার, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন এবং কলমপতি ইউনিয়ন কয়টি ঘরের তালিকা দেয়া হয়েছে আমি জানিনা। জানলে পরবর্তীতে আপনাদের কে জানাব বলে তিনি জানান।
বঙ্গবন্ধুর জর্ম্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে কাউখালী উপজেলায় ভুমিহীনদের মাঝে ১০টি ঘর নির্মান প্রসংগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শতরুপা তালুকদার বলেন, আমরা সরকারীভাবে ১০টি ঘর ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্ব পেয়েছি। প্রতিটি ঘর নির্মানের জন্য ১লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে। কিন্তু পার্বত্য এলাকায় ভুমি জরিপ না হওয়ায় এবং তুলনামুলুকভাবে সমতল এলাকা হওয়ার কারনে জনবসতি কম হওয়ায় খাস জায়গা নির্ধারনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলা কমিটির ২টি সভা করার মাধ্যমে খাস জায়গা চিহ্নিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং কিছু জায়গা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিষ্ট্রিটিভ এ্যসোসিয়েশন্স এর পক্ষ হতে কলমপতি ইউনিয়নের ১জন গৃহহীন পরিবারকে ১টি ঘর করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্য ১০টি ভুমিহীন পরিবারের ঘর নির্মান কার্য্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসংগে কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সামশু দোহা চৌধুরী বলেন, সরকারী ঘর ভুমিহীনদের জন্য। খাস জায়গা চিহ্নিত করে প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ভুমিহীন পরিবারকে এই ঘর প্রদান করা হবে। এবং পর্যায়ক্রমে সরকারীভাবে ভুমিহীনদের জন্য আরো ঘর আসলে তা উপজেলার বাকিইউনিয়নগুরিতে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রসংগত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে কাউখালী উপজেলায় মোট ১০টি ঘর ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্ব প্রদান করা হয়। তার মধ্যে উপজেলার ২টি ইউনিয়ন কলমপতি ইউনিয়ন ৫টি, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন ৫টি ঘর ভুমিহীনদের জন্য নির্মান করে দেওয়া হচ্ছে এবং আরো ঘর আসলে উপজেলার বাকি ইউনিয়ন গুলিতে ভুমিহীনদের জন্য ঘর নির্মান করে দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানান।