গ্রাম্য সালিশ বিচারে যুবলীগ কর্মীদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে দুইজন বিএনপি কর্মীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী র্কাযালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ও থানা বিএনপির সদস্য মোঃ আব্দুল জলিল (৩৯) ও বিএনপি থানা সদস্য মোঃ আব্দুল হালিম (৪৭) মারধোরের শিকার হয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়- গত কয়েক দিন আগে এলাকার মেম্বার ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোঃ আব্দুল জলিল গ্রামের একটা সমস্যা নিয়ে সালিশ বিচার করে সমাধান করে দিয়েছিল। সেই সালিশে এলাকার যুবলীগের কর্মীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় তারা এলাকার মেম্বার জলিলের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
সেটি জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুবলীগ কর্মী ইলিয়াছ মোল্লা কথা আছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে ডেকে তার সঙ্গীদের নিয়ে জলিল মেম্বারকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। জলিল মেম্বারকে রক্ষা করতে গেলে উপজেলা বিএনপির সদস্য মোঃ আব্দুল হালিমকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফেটে দেয়া হয়। পরে এলাকার লোকজন তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
মেম্বার আব্দুল জলিল জানান- এলাকায় যুবলীগ নাম ধারী ইলিয়াছ মোল্লা ও মোঃ গনি সহ কিছু উচ্ছৃঃখল যুবক এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাদের কে ইউনিয়ন পরিষদ র্কাযালয়ে ডেকে নিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করে।
এলাকায় কোন সালিশ বৈঠক হলে তাদেরকে আগে ভাগে জানাতে হবে। গতবার সালিশে তাদেরকে না জানানোর জের ধরে আমাকে এভাবে তাদের হিং¯্রতার শিকার হতে হলো। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন এসব উচ্ছৃঃখল যুবকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ করছেন মেম্বার আব্দুল জলিল।
ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন ঘটনার সত্যটা স্বীকার করে বলেন- সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। সেটি বসে আমরা সমাধান করে নেবো। বরকল মডেল থানার ওসি মোঃ মফজল আহমদ খান জানান- মারামারি হয়েছে। জলিল মেম্বার থানায় এসে অভিযোগ করেছে।