বরকল স্থলবন্দর যাওয়ার জন্য রাঙামাটিতে ১২৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের করবে বিশ্বব্যাংক

481

p.1-1

স্টাফ রিপোর্টার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : বরকল স্থল বন্দরে যাওয়ার জন্য সড়ক পথ নির্মাণ বিষয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে বিশ্ব ব্যাংকের ইকোনোমিস্ট প্রতিনিধি তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে বরকলের থেগামুখ স্থলবন্দরে যাওয়ার জন্য নির্মাণাধীন রাস্তা সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করা হয়। সাক্ষাৎকালে জানানো হয় চিটাগাং হিল ট্রাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের আওতায় বিশ্বব্যাংক রাঙামাটিতে দুই লেন বিশিষ্ট ১২৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী হয়ে বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি এবং বরকল উপজেলার থেগামুখ পর্যন্ত ১২৩ কিলোমিটারের দুই লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের জন্য বর্তমানে জরিপ কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মধ্যে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় একটি চার লেন বিশিষ্ট ব্রীজ এবং বরকলেও একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, রাঙামাটিতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, রাঙামাটি থেকে ছোট হরিণা পর্যন্ত জলপথে যাওয়ার জন্য কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং এবং বরকল উপজেলার ছোট হরিণা থেকে থেগামুখ স্থল বন্দর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ও ‘চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের ট্রান্সপোর্ট ইকোনোমিস্ট কে এস এইচ রাও। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের প্রকৌশলী কামরুল হাসান, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাতকালে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি কে এস এইচ রাও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে বরকলের থেগামুখের স্থলবন্দরে যাওয়ার জন্য নির্মাণাধীন রাস্তা সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। চট্টগ্রাম থেকে থেগামুখ স্থলবন্দরে পৌছার জন্য রাস্তা নির্মাণ এবং জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, রাস্তাটি নির্মিত হলে এলাকার কৃষিজ পণ্য আনা-নেওয়া, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। রাস্তা নির্মাণের সময় এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং স্থানীয় সংস্কৃতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং রাস্তা নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন যাতে তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পায় সেদিকে নজর রাখার জন্য পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এই রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে।

সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান