বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত

543


॥ বরকল প্রতিনিধি ॥
জেলার বরকল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ।

জানাযায়- গত বছর মংগা প্রু নামে এক ব্যাক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের মহা পরিচালকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন বরকল ও রাম গড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান ভূইঁয়াকে তদন্ত ভার দেন কমিশনের মহাপরিচালক।

তদন্ত কর্মকর্তা বুধবার বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো পরিদর্শন করেন। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখেন ও রোগীদের সাথে কথাবার্তা বলেন। এর আগে তদন্ত দলটি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও তদন্ত করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুইমিপ্রু রোয়াজা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে জড়িয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে এবং এ প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার একটা কৌশল মাত্র। যে অভিযোগ করেছে অভিযোগনামায় তার সঠিক নাম ও ঠিকানা নেই। ভূঁয়া নাম দিয়ে অভিযোগ করে আমার সম্মানহানি করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব ভূঁয়া নাম ব্যবহারকারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে দাবী করেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান ভূইঁয়া বলেন- বরকল ও রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করা হয়। তদন্তে কি পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি তদন্তের স্বার্থে বেশী কিছু বলতে চাননি।

তদন্তের সময় জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের মোঃ ওজিউল্লাহ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এনামুল হক হারুন।