॥ ইকবাল হোসেন ॥
বডার গার্ড বাংলাদেশ রাঙামাটি সেক্টর সদর দপ্তরের আয়োজনে বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বাহিনী হিসেবে পরিচিত বিজিবির গৌরবময় ইতিহাস স্মরণে আয়োজিত এ ভোজ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির প্রধান প্রধান সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।
সোমবার দুপুরে অতিথিরা সেক্টর সদর দপ্তরে পৌঁছলে সেক্টর কমান্ডার স্বয়ং এবং তার কর্মকর্তরা অতিথিদের স্বাগত জানান। রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ তরিকুল ইসলাম (পিবিজিএমএস, পিএসসি) এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর ভোজপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি আয়োজিত প্রীতিভোজে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, ডিজিএফআই কর্ণেল জিএস, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জোন কমান্ডার বিএম আশিকুর রহমান পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি নাসরিন সুলতানা,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, রাঙামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লেফটেনেন্ট কমান্ডার (ট্যাজ) বিএন মো. তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক সহ সেনাবাহিনী, বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রীতিভোজের পূর্বে রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ তরিকুল ইসলাম (পিবিজিএমএস, পিএসসি)- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা ও সকলকে স্বাধীনতার সুর্বর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শত বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বাহিনী হিসেবে বিজিবি বা বিডিআরের রয়েছে এক গৌরবময় ইতিহাস। বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানা থেকে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রচার করায় ইপিআর এর সুবেদার মেজর শওকত সহ আরো ২জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে ঐতিহ্যবাহী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৮১৭জন সদস্য শাহাদাৎ বরণ করেছে। এ বাহিনীর ২জন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ এবং শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ আমাদের গর্বের প্রতীক।
তিনি বলেন, ইপিআর বা বর্তমান বিজিবির ৮জন বীর উত্তম ৩জন বীর বিক্রম ও ৭৭জন বীর প্রতীক মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করে এই বাহিনীর ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে রেখেছেন। আমরা তাদের সকলের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বেসামরিক বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আছে ২২৬ বছরের গৌরবময় ইতিহাস। এ বাহিনী বহুকাল আড়াই শ’ বছরেরও বেশি সময় আগে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর হতে কালের পরিক্রমায় আজ একটি সুগঠিত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আপনারা জানেন এ বাহিনীকে পুণঃগঠন করে যুগোপযোগী আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ বাহিনী ত্রিমাতৃক বাহিনী হিসেবে সুপরিচিত। বর্তমানে বিজিবি জলে স্থলে এবং আকাশ পথে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।