বাঘাইছড়িতে প্রতারণার মাধ্যমে বৃদ্ধের শেষ সম্বল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ

352

॥ বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ॥
বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রতারনার মাধ্যমে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের জমি কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাক বিভাগের নগদ শাখার বাঘাইছড়ি উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার কাচালং বাজার এলাকার বাসিন্দা দফাদার মোঃ জাফর ইকবালের ছেলে। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের অস্থ্যায়ী কার্যালয়ে হাজির হয়ে, জাহাঙ্গীর আলম ও তার বাবা দফাদার জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন কাচালং বাজার এলাকার বৃদ্ধ আব্দুল জব্বার(৮৫) ও তার পরিবার।

এসময় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজের সহায়তা চেয়ে প্রতারক জাহাঙ্গীর আলম ও তার বাবা জাফর ইকবালের বিচার প্রার্থনা করেন। বৃদ্ধ আব্দুল জব্বার অভিযোগ করেন বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে প্রায় দেড় একর জমি রয়েছে তার। বৃদ্ধ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার স্ত্রী জমি বিক্রি করার জন্য প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের শরণাপন্ন হন এসময় সে গ্রাহক খুজে দেয়ার নাম করে বৃদ্ধের জমির দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজ নিজের কাছে রেখে দেয়।

কিছুদিন যাওয়ার পর জমির কাগজে ভুল রয়েছে মর্মে বৃদ্ধের নিকট ৩০০০- ৫০০০ টাকা দাবী করে পরে পর্যায় ক্রমে নগদ মোট ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং কাগজ সংশোধন করার নামে বৃদ্ধের কাছ থেকে দলীলে সাক্ষর নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে জমি নিজের নামে করে নেয়।

সারা জীবনের তিলে তিলে জমানো ৮৫ হাজার টাকা উপজেলার পোস্ট অফিসে সঞ্চয় হিসেবে আমানত রাখার খবর জানতো নগদ উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম তাই বৃদ্ধের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার জীবনের শেষ সম্বলটুকু হাতিয়ে নেয় প্রতারক জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয় থানা পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ন্যায় বিচার না পেয়ে এখন সাংবাদিক সমাজের দারস্থ্ হয়েছেন বলে দাবী করেন বৃদ্ধ আব্দুল জব্বার। অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা জাফর ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী করেন ডিসি অফিসের এসি ল্যান্ড ও মেজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে জমি রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে সেখানে প্রতারনার সুযোগ নেই। জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, আমার কাছে জমির কাগজপত্র রয়েছে এগুলো যাচাই করে দেখেন। এদিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি বলেন তার কাজই হচ্ছে উদ্যোক্তার আড়ালে মানুষকে প্রতারিত করা। অতীতে বহু মানুষকে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে এবং সে দীর্ঘ বৎসর উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় দখল করে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে আসিতেছে।

এ বিষয়ে আগামী বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানির কথা রয়েছে।