॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ঘিরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জমির উদ্দিন, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল মাওলা, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশীষ কুমার চাকমা নব, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার সুজন, সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা প্রমূখ।
পরে দলীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
শোক সভায় সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিলো এই কলঙ্কিত অধ্যায়। এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরসহ স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। আর প্রতি বছর এই দিনটি আসে বাঙালীর হৃদয়ে কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে।
এর পরও ঘাতক কুচক্রীরা থেমে থাকেনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদে ও বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। তিনি এখনো মানুষের কল্যাণে দেশের অগ্রযাত্রাকে প্রসারিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তাই আজকে আমাদের জোর দাবী যাতে এই মাসেই বঙ্গবন্ধুসহ তার স্বপরিবারের খুনীদের আইনের আওতায় এনে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি শহরের ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও গরীব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া রাঙামাটির ১০ উপজেলায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শোক দিবসের কর্মসূচী পালিত হয়।