।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি)। মঙ্গলবার সকালে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজমের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রুহুল আমিনের হাতে তুলে দেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু।
স্মারকলিপিতে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজারফান্ড জমি বন্ধক দিয়ে ঋণ নিতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে ভুগছেন। এতে ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। একই সঙ্গে এখানকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রথমবার বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। তখন নানা দেন-দরবারের পর তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা যতদিন অবসান না হবে, ততদিন পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হতে থাকবে বলে দাবি পিসিসিপি’র। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা না হলে পিসিসিপি’র নেতৃবৃন্দ তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখার হুঁশিয়ারি দেন।