আলীকদম প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিলোমিটার থেকে দুইটি লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে আরো একটি লাশ পাওয়া গেছে। আরো লাশ আছে কিনা নিশ্চিত হতে সেনা বাহিনী ও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলীকদম থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থল থেকে রাত নয়টার দিকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার জানান, এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ অপহৃত কাঠশ্রমিক বোরহান উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখানে সেনা-পুলিশের পাশাপাশি শতাধিক উৎসুক জনতার ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার পান বাজারের মৃত লালসা ফকিরের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ওই এলাকা থেকে আরো দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশ সদস্যরা। গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে এ দু’জনকে গুলি হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনির সদস্যরা। হত্যাকান্ডে স্থানীয় ত্রিপুরা ও মুরুং সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত বলে জানা গেছে। শুক্রবার উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম সিংলক মুরুং(৩০)। সে থানচি উপজেলার অবয় কারবারী পাড়ার লক্ষয় মুরুং এর ছেলে। নিহত অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সে ত্রিপুরা স¤প্রদায়ভূক্ত বলে জানাগেছে। নিহতদের দেহ তলাশ করে একটি শর্টগান, ৪টি গুলি ও ২টি ছুরি পাওয়া যায়।
সন্ত্রাসীরা সদ্য আত্মসমর্পনকৃত ম্রো ন্যাশনাল ডিফেন্স পার্টি (এমএনডিপি)’র বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অন্য গ্রুপটি স্থানীয় কথিত ত্রিপুরা সন্ত্রাসি বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে গতরাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন বলেন, একটি লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে সেনা-পুলিশের অভিযান চলছে।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান