বান্দরবানে এলজিইডি ও উন্নয়ন বোর্ড ২৭শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে

111

॥ নুরুল কবির-বান্দরবান থেকে ॥

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমতলের ন্যায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের বিগত ১৫বছরে এই জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জেলার সাত উপজেলায় ১হাজার ৯৮৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৯৮৭টি, রোয়াংছড়ি ১৫০, রুমা ১৪৯, থানচি ১৫৮, লামা ২৭৭, আলীকদম ১২৪ এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৪৪টি প্রকল্পর রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১হাজার ৩৮৬কোটি ৯০লাখ ৪৩হাজার টাকা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বিশেষ করে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যালয়, হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন ও লামা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাতে জেলার কোন উপজেলা তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলায় এলজিইডির ও উন্নয়ন বোর্ড অভ্যান্তরীণ ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ হয়েছে।
যার উন্নয়ন হয়েছে তা চোখে দেখার মত।

বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত পনেরো বছরে বান্দরবানের সাত উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ কর্মসূচী, তিন পার্বত্য জেলায় দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় পর্যায়), বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তপল্লী সড়ক অবকাঠামো পূর্নবাসন প্রকল্প, দেশ ব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প, গ্রাম সড়ক পূর্নবাসন প্রকল্প, উপজেলা শহর (নন মিউনিসিপ্যাল) মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্প, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প-৩, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুর্নবাসন শীর্ষক প্রকল্প, টেকসই ক্ষুদ্রা কার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, সার্বজনীন সামাজিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচী-২, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী-৩, পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্ল ীউন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায় (রুরাল রোড়স কম্পোনেন্ট), পল্লী অবকাঠামে উন্নয়ন প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম-২য় পর্যায়, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায় কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ পাইলট প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধাদের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, নিবন্ধন কৃত মহিলা সমবায় সমিতির আওতায় ব্যাতি কর্মী ব্যবসায়ী উদ্যোগ জয়ীতা বান্দরবান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প-২, অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাট বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, পিটিআই বিহীন ১২টি জেলায় পিটি আই স্থাপন প্রকল্প, পিইডিপি-৩ (আসবাব পত্রসরবরাহ),

রাবারড্যামপ্রকল্পএবংঅগ্রাধিকারভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লীঅবকাঠামোউন্নয়নর্শীষক ২৮টি প্রকল্পেরমাধ্যমে দৃশ্য মান নানা উন্নয়ন সম্পাদিত হয়েছে। বিশেষকরে সাঙ্গু নদীর উপর ২২০ মিটার ব্রিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি বাকঁখালী নদীর উপর ৯৬মিটার ব্রিজ, ফাসিয়া খালী ব্রিজ, বেঙছড়ি-বিলাইছড়ি ১৭কি:মি সড়ক, ঈদগড় বাইশারী-দোছড়ি ২৮কি:মি সড়ক, তুমব্রু ৩৩কি:মি সড়ক, আলীকদম-দোছড়ি ১১কি:মি সড়ক, রুমা মুননম পাড়ায় ১৩কি:মি সড়ক, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল ২৭কি:মি সড়কসহ দৃশ্য মান বহুপ্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। জানতে চাইলে জেলাআওয়ামীলী সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, তাঁর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে একসময় সফর করতে ৩-৪দিন সময় পার হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় একদিনে পাচ ঁইউনিয়ন সফর করা যায়। আর এই উন্নয়নের মূল কারিগর ছয় বারের এমপি বীর বাহাদুর। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের বান্দরবান জেলা নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনগণের চাহিদা অনুযায়ী জেলায় বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা স্থানীয় সাংসদ তৃণমুল থেকে মানুষের সমস্যা ও সম্ভাবনার চিত্র তুলে এনেছেন। সেখান থেকে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সর্বস্থরের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুবিধা ভোগীহন সেভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।