॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার সকাল ১১ টায় রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ৯ সদস্য এবং কেএনএফ এর ৫ সদস্য অংশ নেয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে। বৈঠককে ঘিরে মুনলাই পাড়ায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ বিজিবিসহ মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। দুপক্ষের মধ্যে এর আগে অনেক বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সামনা সামনি এটিই প্রথম বৈঠক। বৈঠকে কেএনএফ এর পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে বলে জানিয়েছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র। পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর বিপথ গামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে চলতি বছর জুন মাসে ১৮ সদস্য বিশিষ্ঠ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়।
গত বছরের আগস্ট থেকে কেএনএফ পাহাড়ে তৎপরতা শুরু করে। এদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ ২২ জন নিহত হয়। কেএনফের ১৭ সদস্যকে আটক করা হয়। এই সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে নতুন গজিয়ে ওঠ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিদ্দাল শারক্বিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গিদের টাকার বিনিময়ে কেএনএফ প্রশিক্ষণ দিতো বলেও অভিযোগ ছিল। কেএনএফের এই তৎপরতায়ে বান্দরবানে পর্যটন শিল্পের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয় প্রশাসন থেকে। পাহাড়ে চলমান এই সংঘাত নিরসনে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে এই প্রথম কেএনএফ সরাসরি বৈঠকে বসেছে।