॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সীমান্তর্বতী বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে গত তিন মাস ধরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে পার্বত্য জেলার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সস্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ আস্তানা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তবে এসময় তাদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র¿ উদ্ধার করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় মেঘলাস্থ র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি আরও জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র ৫০ জন জঙ্গি পাহাড়ে অবস্থান করে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের আস্তানায় অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে র্যাবের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১১ জানুয়ারী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার পাঁচ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত ও শান্তি শৃংঙ্খলা ভঙ্গে যারা জড়িত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করবে সেই ধরণের সকল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: নোয়াখালীর আবদুল কুদ্দুস এর ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ওরফে ইউসুফ,কুমিল্লার আবদুর রাজ্জাক এর ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা, সিলেটের মো: সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন, কুমিল্লার মৃত শফিকুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ ওরফে বাইরু ও কুমিল্লার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৭)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন ম্যান্ডেটের আলোকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে, আর এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় দুই হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। র্যাব আরও জানায়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বান্দরবানে আটক করা পাঁচজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার ৭জন ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ৩ সদস্যকে আটক করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।