॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে মসজিদ কমিটির নামে কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বায়তুস ছালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি ও সাধারণ মুসুল্লীরা। সম্প্রতি মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে কাল্পনিকভাবে অর্থ আত্মসাতের ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করায় প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, সম্প্রতি আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ আত্মসাতের একটি কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করে এবং কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই না করেই চার লাখ টাকা আত্মসাতের ওই ভিত্তিহীন অভিযো বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে। যা একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
কমিটি জানায়, সংবাদ সম্মেলনে ওই ব্যক্তি মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে মসজিদ কমিটি ও উপদেষ্টার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা ফৌজদারি অপরাধের সামীল। ওই তথ্য সাধারণ মুসল্লীদের ধর্মীয় আবেগ অনুভূতিতে দারুনভাবে আঘাত হেনেছে এবং এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বায়তুস ছালাম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক, সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম ও মোঃ ফরিদসহ ভেদভেদী এলাকার সাধারণ মুসল্লীগণ।
লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় মূসল্লীদের দানকৃত নিজস্ব অর্থায়নেই দীর্ঘদিন ধরে বায়তুস ছালাম জামে মসজিদটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মসজিদের নিজস্ব আয়ের জন্য ইতোপূর্বে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের অনুদান বা বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। মসজিদের আয়বর্ধনে আজকের বর্তমান অবস্থানের অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে ভেদভেদী এলাকার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন তারুণ্য ক্লাব।
তথ্যে জানানো হয়, ২০১৭ সালে তারুণ্য ক্লাবের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ১৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রদান করা হয়। কিন্তু ক্লাবের জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকায় সকলের সম্মতিক্রমে মসজিদের জন্য উক্ত প্রকল্পের অর্থগুলো প্রদান করা হয়। প্রকল্পের অর্থ দিয়ে মসজিদের জন্য দোকানঘর ও ইমামের জন্য বসতঘরের ৭০ শতাংশ নির্মাণ করা হয়। তারুন্য ক্লাবের সৌজন্যে প্রাপ্ত অর্থের বিনিময়ে মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হওয়ায় মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পরে তারুণ্য ক্লাবকে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির লিখিত রেজুলেশনে রয়েছে।
কিন্তু প্রকৃত সত্য গোপন করে ওই আলাউদ্দিন চার লাখ টাকা আত্মসাতের ভিত্তিহীন অভিযোগ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে একই বিষয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে অযোক্তিকভাবে তাঁর মানহানি করেছেন।
কমিটির পক্ষ তেকে তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যাবতীয় কাগজপত্র ও রেজুলেশন উপস্থাপন করে বলা হয় আলাউদ্দীন যেই ব্যক্তিকে মসজিদের ভাড়াটিয়া উল্লেখ করেছেন ওই নামে মসজিদের কোনো ভাড়াটিয়া আদৌ নেই। কমিটি জানায়, প্রকৃত সত্য জানতে যে কেউ চাইলে সমস্ত দলিলাদি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। সম্মেলনে জানানো হয়, কমিটির সাথে কোনো পরামর্শ না করে কুৎসা রটানোর কারণে মসজিদ কমিটি থেকে আলাউদ্দিনকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে উপরোক্ত বিষয়ে আলাউদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান, মসজিদের লেনদেনের বিষয়টি আমাকে আগে বলা হয়নি। মসজিদের ফান্ডে এখন কোনো টাকা-ই নেই; সেক্ষেত্রে মসজিদ কেন অনুদান দেবে? আর আমি যেহেতু মসজিদ কমিটির একজন সদস্য সেক্ষেত্রে আমি জবাব চাইতেই পারি। আমি বারবার হিসেব চেয়েছি তারা আমাকে বিষয়টি খোলাসা করে না জানানোয় আমি সংবাদ সম্মেলন করেছি।