॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বাল্য বিবাহ আমাদের সমাজের জন্য এবং জাতির জন্য অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আমাদের জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাঁধার সৃষ্ঠি করছে এই বাল্য বিবাহ। তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধ কল্পে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রনীত হয়েছে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশান্তময় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাল্য বিবাহ বিরোধী ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপিকা বাঞ্চিতা চাকমা। এসময় উপস্তিত ছিলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বেগম হোসনে আরা, এ্যাডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি মং ইয়ে প্রমুখ। ক্যাম্পেইন এ ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ জানে আলম।
এমপি চিনু বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের যে সব প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্য বিবাহের ঘটনা বেশী রয়েছে সেসব এলাকায় এই বিষয়ে ব্যাপক প্রচারনা চালাতে হবে। ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার স্কুল থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত সকল স্তরে ছাত্রীদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার সূযোগ সৃষ্ঠির পাশাপাশি উপ বৃত্তি চালু করেছেন। তাই এ ব্যাপারে তোমাদের নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার আগে সজাগ হতে হবে বলে তিনি জানান।
প্রচারাভিযানের উদ্বোধনকালে ইউনিসেফ পরিচালিত জরিপের সূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়, তিন পার্বত্য জেলায় বাল্য বিবাহের হার এখনো শতকরা ৪০ ভাগ। এর মধ্যে ১৫ বছরের আগেই শতকরা ৯.৮% ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়। এর মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এই হার শতকরা ১৩.৪%। তিন পার্বত্য জেলায় ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ের শতকরা হার ৪১.৬% এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এই হার শতকরা ৪৪.৫%.।
বাল্য বিবাহের সার্বিক চিত্রে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়। তাই এখানে আমাদের বাল্য বিবাহ রোধী প্রচারাভিযান জোরদার করতে হবে। রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, আাইসিডিপির পাড়াকর্মী, সাংবাদিক এই প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
