বান্দরবানের রুমায় পাহাড় ধসে নিখোজ রুমার স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়–য়া লাশ বাশখালীতে নদীতে পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করছে মুন্নি বড়ূয়ার ছোট ভাই ছোটন বড়–য়া এবং বান্দরবান-রুমা সড়কের দৌলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড়ি ঢলে উঁচু পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ে বাকি নিখোঁজদের সন্ধানে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনেও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। তবে বিকেল নাগাদ নিখোঁজ রুমা উপজেলা
পোষ্ট মাষ্টার জবিউল হোসেন,কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী, এবং রুমার কারবারী মংশৈ মারমার কন্যা ১৮বছর বয়সী ছাত্রী চিংমে সিং মারমার কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার নানাস্থানে পৃথকভাবে সেনাবাহিনী,দমকল
বাহিনী, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট সদস্য মিলে শতাধিক উদ্ধারকর্মী নিখোঁজদের উদ্ধারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া রুমা সড়কের পাহাড় ধসেপড়া অংশের মাটি সরাতে বৃষ্টিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভারি বর্ষণের কারণে উদ্ধার অভিযানে চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো.ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন,ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ঝিরিতে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সেনা রিজিয়নের জিএসও-২ মেজর মেহেদী হাসান জানান, রুমা পাহাড় ধসের পর পরই সেনা সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতায় নেমে পড়েন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অক্লান্ত পরিশ্রয় করছে সেনা সদস্যরা। ব্যবহার করা হচ্ছে এক্সাবেটরসহ বিভিন্ন ভারী সরঞ্জাম। প্রায় ৪০-৫০ জনেরও বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন, প্রয়োজনে সেখানে সেনা সদস্য আরও বাড়ানো হবে। বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনর রশিদ জানান,বৈরী আবহাওয়া সত্বেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের উদ্ধারকর্মীরা তাদের অভিযান শুরু করেছেন। মৃতদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে,টানা চারদিনের ভারি বর্ষণে বান্দরবান জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বান্দরবান জেলা সদরের সাথে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলা সদরের সাথে লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবহণ
মালিক সমিতি পাহাড়ধসের আশংকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা সদর থেকে থানচি উপজেলা সদরে চলাচলকারী বাসসহ যানবাহন বন্ধ রেখেছে। জানা গেছে,বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া নামক স্থানে সড়কপথ কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। বান্দরবান- রাঙামাটি সড়কের পাইনছড়া এলাকায় বেইলি সেতু ১০ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত তিনদিন ধরেই জেলা সদর পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন সারাদেশ থেকে। মঙ্গলবার সকালে চকরিয়া-লামা সড়কের মিরিজ্ঞা এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে পড়ায় লামা ও আলীকদম উপজেলা সদরের সাথেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে গত সোমবার সকাল থেকে।