মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, আমাদের স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাবার দিন। এই দিবস ঘিরে জনগণের আবেগ, ভালোবাসা, আর মাতামাতি তো থাকবেই। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
দিবসটি ঘিরে রাঙামাটি শহরের সকল, সরকারি অফিস আদালত, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ শিল্পির আপন তুলির ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল বিজয় দিন ঘনিয়ে আসছে। স্মৃতিসৌধ আর শহীদ মিনারে বছর ধরে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ধুয়ে মুছে সব ঝকঝকে হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এদেশের স্বাধীনতা। সেই শহীদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার দ্রুত পরিষ্কার করা হচ্ছে। তাই প্রতি বছর বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্র“য়ারী আসলে বাঙালীরা নতুন প্রত্যয়ে জেগে উঠে। শহীদদের স্মরণে ফুল নিয়ে সেই রাত থেকে সকাল পর্যন্ত লক্ষ-লক্ষ মানুষ শহীদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সম্মাননা জানায়।
এদিকে নার্সারী ব্যবসায়ী সালাউদ্দীন জানান, বিজয় দিবসকে ঘিরে তার ফুলের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন উৎসবে ফুলের ব্যবসা জমে উঠে।
এদিকে বিজয় দিবসকে ঘিরে জেলা শহরের আবাল-বৃদ্ধ, শিশু, কিশোর-কিশোরী সকলে দেশের লাল-সবুজ পতাকা ক্রয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বিজয় দিবসের পূর্বদিনে ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতার সংখ্যাও যেন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দর্জিরাও। দর্জি কাজল দে জানান, প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস আসলে পতাকা তৈরিতে আমাদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। যার যার পছন্দ অনুযায়ী ছোট-বড় পতাকা তৈরি করে নিচ্ছে। তিনি জানান, ছোট পতাকার দাম ৫০ টাকা এবং বড় পতাকার দাম ১০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।