স্টাফ রিপোর্টার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): গত ২০ নভেম্বর রোবার সকাল ১১টায় ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সমালোচনা করে এবারের ১৬ ডিসেম্বরের ‘বিজয় দিবস’ বর্জণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পার্বত্য সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (ইউপিডিএফ)’র সদস্যরা। একটি স্বাধীন দেশে তাদের এ ঘোষণা ৭১’র স্বাধীনতা বিরোধীতার মতোই দৃষ্টাতা স্বরূপ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের দোসর হয়ে আজ তারা এ দৃষ্টতা প্রকাশ করছে এমন মন্তব্য করে পাহাড়ের সশস্ত্র চাঁদাবাজ, জঙ্গী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষনার জোর দাবী জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির, সংগঠনের শীর্ষ নেতা আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান ও এম আনোয়ারুল্লাহ। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনঢাকা মহানগর কমিটির প্রচার সম্পাদক এডভোকেট কাজল বড়–য়া এক ই-মেইল বার্তায় এ দাবী জানানো হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী উপজাতীয় এ নেতাদের পাকিস্তানী প্রেতাত্মা ও রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাদের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন- “জেএসএস ও ইউপিডিএফ নামধারী উপজাতীয় জঙ্গী সংগঠনগুলো অব্যাহতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এরা কখনোই পাহাড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় দিনগুলোকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায় না। বরং যে সকল উপজাতীয় শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রী ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে তাদেরকে এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে নানারূপ গালমন্দ করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে।
সমঅধিকার নেতৃবৃন্দ বলেন- কাপ্তাই উপজেলার সীতা পাহাড় এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় বাপেক্স এর তত্ত্বাবধানে সরকার তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আহরন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দেশের ১৬ কোটি মানুষ একে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু, সন্তুলারমা ও কতিপয় উপজাতীয় নেতা তাদের অনুমতি ছাড়া পাহাড়ে কোনরূপ ভূমি অধিগ্রহণ, সেনাক্যাম্প তৈরী, তেল-গ্যাস আহরণ করা যাবে না বলে যে আস্ফালন দেখাচ্ছেন, তাতে আমরা মর্মাহত। তথাকথিত শান্তিচুক্তিতেও সন্তুলারমাকে এধরনের কোন ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই। অথচ অস্টেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স, কোরিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ড, নেপাল, চীন ইত্যাদি রাষ্ট্রে অবস্থানরত কতিপয় চাকমা উপজাতীয় নেতা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন যা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল।
তারা আরো বলেন- বাংলাদেশের আইনের শাসন উপজাতীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না। বাঘাইছড়ির সার্জেন্ট মুকুল চাকমার ঘাতকদেরকে গ্রেপ্তার করার পরও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় জামিন দেয়া হয়েছে। পাহাড়ে ৩৫ হাজার বাঙালি হত্যাকারী সন্তুলারমা ও তার সঙ্গীদেরকে বিচার না করা হলে দেশে আইনের শাসন বলতে আর কিছুই থাকবে না বলে নেতৃবৃন্দ আশংকা প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ, ২০ নভেম্বর রোবার সকাল ১১টায় ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে ১৬ ডিসেম্বরের ‘বিজয় দিবস’ বর্জণের কর্মসূচি ঘোষণাকারী ইউপিডিএফ নেতাদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবী করেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।


 
		




























