॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অদ্যাবধি সম্প্রচারিত ও চৌধুরী আতাউর রহমান রানা’র উপস্থাপনায় বনফুল থেকে লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের ৩৯ বছর পূর্তিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন সুর নিকেতন এক আনন্দ সন্ধ্যার আয়োজন করে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) বিকাল ৪টায় রাঙামাটি জেল রোডস্থ সুর নিকেতন নিজস্ব ভবনে সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খার সভাপতিত্বে আনন্দ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি বেতারের উপ-পরিচালক মো. সেলিম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকসুদ আহম্মেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, কবি তাওফিক হোসেন কবির, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মঈন উদ্দীন বাপ্পী, সাংবাদিক উচিংছা রাখাইয়ন কায়েস এবং সুর নিকেতনের শিল্পীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান- বনফুল থেকে লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা, উপস্থাপক ও গবেষক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সুর নিকেতননের প্রতি শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসময় দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ লোক লোকালয়ের মাধ্যমে নিয়মিত তুলে ধরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সংস্কৃতি বিকাশে বিটিভিতে প্রচারিত লোক লোকালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে চৌধুরী আতাউর রহমান রানার কারণে আজ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের ভাষা-সাংস্কৃতিক সর্ম্পকে মানুষ জানতে পারছে এবং দেশের বাইরেও পরিচিতি লাভ করছে। এতে করে বিটিভিতে প্রচারিত লোক লোকালয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে অতিপ্রিয় মানুষ হয়ে উঠছেন তেমনী লোক লোকালয়ের চলমান এই ধারাবাহিকতার কারণে পার্বত্য এলাকাসহ অন্যান্য জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষদের কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ও চৌধুরী আতাউর রহমান রানা’র উপস্থাপনায় লোক লোকালয়ের ধারাবাহিকতা আরো বেশী ব্যাপকতা যেন পাই এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। পরে লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের ৩৯ বছর পূর্তি ৩৯টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয় এবং সুর নিকেতনের শিল্পিদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।