॥ প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
বিতর্কিত অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অংশ গ্রহণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
বিবৃতিতে বলা হয় রাষ্ট্রীয় পলিসির সাথে সাংঘর্ষিক দাবি জানানো এবং রাষ্ট্রের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করা আদিবাসী দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার প্রকারান্তরে তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। কারণ তিনি অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার শপথ করলেও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি রাষ্ট্রের চেয়ে সাম্প্রদায়িক অনুরাগকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
৯ এপ্রিল বৈসাবী অনষ্ঠান ঘিরে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় চেয়ারম্যানের যোগদান প্রসঙ্গে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক উৎসব ঘিরে আয়োজিত এই আলোচনা সভা এবং শোভাযাত্রাটি ছিল মূলত একটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে তারা সামাজিক উৎসবের চেয়ে আদিবাসী পরিকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়েছে।
পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, পাহাড়ের বিজু, সাংগ্রাই উৎসব নাম দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুনে লিখা হয়েছে আদিবাসী জুম্ম জাতির অস্থিত্ব নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে অধিকতর সামিল হও।
প্রসঙ্গত, ০৯ এপ্রিল পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর বৃহত্তর সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু, সাংলান, চাংক্রান ২০২৫, উদযাপন কমিটির ব্যনারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আদিবাসী ফোরামে সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের মূল শ্লোগান ছিল “আদিবাসী জুম্ম জাতির অস্তিত্ব নিশ্চিততকরনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন অধিকতর সামিল হই”।
পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ দাবি করেন সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় এমন দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারি নীতিমালার প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। আমরা চেয়ারম্যানে এহেন হঠকারী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।