বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন লংগদুর তিন ইউপির অর্ধলক্ষ মানুষ

323

॥ গোলাম মোস্তফা ॥

সম্প্রতি পটুয়াখালি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ হিসেবে ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলাধীন ৩টি ইউনিয়ন (ভাসান্যাদম, বগাচত্বর ও কালাপাকুজ্জা) এখনো সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সভ্যতার বাহিরে। যেখানে বসবাস করছেন ৫০ হাজারের অধিক মানুষ। এই ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে গুলশাখালী ইউনিয়নে বিদ্যুতের আগমন ঘটলেও পুরো ইউনিয়নবাসী এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসেনি।

উল্লেখিত ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৩হাজারের অধিক শিক্ষার্থী বিদ্যুৎ সভ্যতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত থাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেও পাওয়া যায়নি ইতিবাচক কোন সাড়া। কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কবে নাগাদ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে এই ৩টি ইউনিয়ন।

অথচ এই এলাকাগুলো এতোটা দুর্গম এলাকা নয় যে, এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়। একেবারে সমতল ভূমি ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলেই এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সময়ের ব্যপার মাত্র। অথচ রাঙামাটির অনেক দুর্গম এলাকায় বিদ্যুতের আলোয় পড়ালেখা করছে অনেক পাহাড়ী-বাঙালি শিক্ষার্থীরা।

স্থানয়িদের দাবি তাহলে কি রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্বহীনতা আর কর্তৃপক্ষের অবহেলাই সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণাকে ম্লান করে দিচ্ছে? নাকি এর পিছনে আরো কোন কারণ বা রাজনৈতিক বৈরিতা রয়েছে তা অজানাই থেকে গেলো এসব এলাকার সাধারণ মানুষগুলোর কাছে। প্রতিনিয়ত বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েই চলেছে স্থানীয় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। হয়তো বিদ্যুতের আলো থাকলে বন্য হাতির আক্রমণ থেকেও রক্ষা পেতো আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারতো বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠাই পাওয়া অবহেলিত ৫০হাজারেরও বেশি জনসাধারণ।

এই মানুষগুলোর একটাই চাওয়া সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা অনুযায়ী খুব দ্রুত যেন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় ৩টি ইউনিয়ন।