বিলাইছড়িতে ইউপি নির্বাচনঃ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩ ও স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী

425

॥ বিলাইছড়ি প্রতিনিধি ॥

বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ৩টি ইউনিয়নে। আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত প্রার্থীরা। সব এলাকায় পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। চলছে শীতের হাওয়ার আগেই নির্বাচনী হাওয়া।
সিডিউল মোতাবেক খুব কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় পর্বতে গিয়ে নিজেকে জয়ী করার জন্য ভোটারদের ভোট পাওয়ার জন্য শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ভাব বিনিময় করছেন প্রার্থীরা দিন-রাত। প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছে, তারা জনসাধারণের কাছ থেকে বেশ সমর্থক পাচ্ছেন। প্রচারণায় কেউ পিছিয়ে নেই বলেও জানান স্থানীয় ভোটাররা।

তিন ইউনিয়নে মোট ১১জন চেয়ারম্যানের প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩জন বাকীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থীর মধ্যে ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩জন, তারমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ভদ্রসেন চাকমা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সুনীল কান্তি দেওয়ান ও মিথুন তঞ্চঙ্গ্যা (অমিতাভ)।

২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৪জন, তারমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রামাচরণ মার্মা (রাসেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন টিপু চাকমা, অমর জীব চাকমা ও সমতোষ চাকমা। ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে ৪ জনের মধ্যে আওয়মীলীগের মনোনীত প্রার্থী বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জীবন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, চাথোয়াই মার্মা ও নির্মল তঞ্চঙ্গ্যা।

প্রচারণায় কমতি নেই, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরাও। তারা তাদের প্রচারণায় বেশ জনসমর্থন পাচ্ছেন বলেও জানা যায়। এর মধ্যে ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নের- রিতা চাকমা, মাধুরী চাকমা, সপ্না তঞ্চঙ্গ্যা, বলাকা রানী চাকমা, তনাবী তঞ্চঙ্গ্যা, অনুভা তঞ্চঙ্গ্যা ও রানী বালা তঞ্চঙ্গ্যা এবং ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন ৮জন ও ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে ৯ জন মোট-২৪ জন। আর সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বিলাইছড়িতে ২৪জন, কেংড়াছড়িতে ১৯জন ও ফারুয়াতে ৩১ জন সর্বমোট ৭৪ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২ জন।

অপরদিকে, অনেক ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সবাই ভোট চাইতে আসে, কাকে রেখে কাকে দেবো, কাকে ফেলে কাকে দেবো এরা বসন্তের কোকিল নয়তো। চিন্তায় পড়েছেন ভোটাররাও। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন ভোটার জানান, এবারে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার সময় এসেছে। তিনি জানান, যিনি বিপদে-আপদে পাশে থাকবে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে, ত্রাণ চুরি করবেন না, আত্মীয় ও দলীয়করণ করবেন না, ন্যায় বিচার করবেন এবং সকলের সমান অধিকার বজায় রাখবেন এমন ব্যক্তিকে ভোট দিবেন।

সবমিলিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২জন সহ মোট প্রার্থী ১১১জন। ১১ নভেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা প্রচার-প্রচারণা, নিজে জয়ী হবার জন্য এবং নিজের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য সব হিংসা-বিভেদ ভুলে দেখা যায় একে অপরে-পরস্পরে নতুন সহানুভূতি ও ভলোবাসার বন্ধন। এ যেন এক নতুন ঐক্যের সন্ধি। তবে সকলের একটাই দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটাররা যাতে ঠিকমত ভোট দিতে পারে।