বিলাইছড়িতে গণটীকা দেওয়া চলছে ॥ অপ্রতুলতার অভিযোগ

432

॥ বিলাইছড়ি প্রতিনিধি ॥

সারাদেশের মত বিলাইছড়িতেও বুধবার থেকে গণটীকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অনেক আগে রেজিষ্ট্রেশন করা থাকলেও অনেকের নিয়মানুসারে টীকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২য় পর্যায়ে চীনের তৈরী সিনোফার্ম এর টীকা মাত্র ২০০ টি এসেছে। তার মধ্য থেকে ২য় ডোজের জন্যও রাখতে হবে। বুধবার থেকে টীকা দেওয়া হচ্ছে ১ম দিন ৫২ জনকে ও ২য় দিন বৃহস্পতিবার ৩৪ জনকে ১ম ডোজ হিসেবে টীকা দেওয়া হয়েছে।

আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেকে টীকা দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টীকা নিতে আসা কয়েকজন জানান, তারা অনেক আগে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু আজকে টীকা নিতে আসলে বলা হচ্ছে যারা ম্যাসেজ পেয়েছে শুধু মাত্র তাদেরকে টীকা দেয়া হবে। তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যারা আমাদের পরে নতুন রেজিষ্ট্রেশন করেছে তারাই টীকা পাচ্ছে। অগ্রাধীকার হিসেবে যেহেতু আমরা আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছি, সেহেতু আমরা আগে পাওয়ার কথা। এজন্য তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা মাত্র ২০০ টীকা হাতে পেয়েছি। তার মধ্য থেকে ২য় ডোজের জন্যও রাখতে হবে। তাই টীকা খুব স্বল্প। অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক আগে যারা রেজিষ্ট্রেশন করেছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদেরকে দিয়ে আমরা আগে ট্রাই করেছিলাম এসএমএস পাঠাতে। কিন্তু আমাদের নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ডাটা না নেওয়ার কারণে আমরা তাদেরকে টীকা দিতে পারছিনা। কারণ হিসেবে তিনি সার্ভারে সমস্যার কথা জানান। এটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকার কারণে চাইলেও তারা তাদেরকে টীকা দিতে পারছেনা। তিনি বলেন, এসএমএস সিস্টেম ছাড়া টীকা দিতে গেলে সবাই একসাথে চলে আসবে স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখা সম্ভব হবেনা। তিনি আরও বলেন, জুম মিটিং হলে বিষয়টি তিনি উত্থাপন করে সমস্যা সমাধান করার কথা জানান।

প্রসঙ্গত, উপজেলায় ১ম পর্যায়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টীকা ৮০৫ জনকে ১ম ডোজ ও ৫৮১ জনকে ২য় ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়। ২য় পর্যায়ে আজ পর্যন্ত ৮৬ জনকে সিনোফার্ম এর টীকা ১ম ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।