বিলাইছড়ি চাইন্দ্যা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

344

॥ বিলাইছড়ি প্রতিনিধি ॥

সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের চাইন্দ্যা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি পানিতে ভেসে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পৌঁহাতে হচ্ছে।

অতীতে বিদ্যালয়টি বেসরকারি এনজিও ‘টঁংগ্যা’র’ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। কিন্তু সংস্থাটির প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে।

এই বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখে। টিনশেডের চাউনি,গাছের খুঁটির সাথে বাঁশের বেড়া ও মেঝে পাকা করে অফিসসহ ৪কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি ছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক অনবরত প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকায় বন্যা হলে পানির স্রোতে বিদ্যালয়ের যাবতীয় সরঞ্জামাদিসহ কক্ষগুলো পানির তোড়ে ভেসে যায়। বন্যা পরবর্তী সময়ে উপজেলা বা জেলার সরকারি দপ্তরের কোন কর্মকর্তা ওই এলাকা পরিদর্শন করেননি বলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগৎ চান তঞ্চঙ্গ্যা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,বন্যার পর শুধু রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ান পাংখোয়া ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। আর এখন বিদ্যলয়ের নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে পারছে না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন,ইউনিসেফ এর পাড়া কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের পাঠদান চললেও শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। তাই সরকারি নতুবা জেলা পরিষদের উদ্যোগে অবিলম্বে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য তিনি দাবি জানান।

সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়সেন তঞ্চাঙ্গ্যা বলেন, প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাইন্দ্যা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ স্কুল ভবন নির্মাণের কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।