স্টাফ রিপোর্ট- ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মানবাধিকার কর্মী ও পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলনের নেতা মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন- “ব্যাপক প্রচারণা ও সশস্ত্র বিদ্রোহের সুবাদে উপজাতীয় নেতারা পার্বত্যবাসী বাঙালিদের মানবাধিকার হরণ করছেন এবং তাদের ভূমি, ভোট ও ভাতের অধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কতিপয় চাকমা উপজাতীয় নেতা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও পাহাড়ের সাধারণ উপজাতি ও বাঙালি জনগোষ্ঠির আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আজো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের পেশকৃত ৯ (নয়) দফা দাবীনামা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০টায় সংগঠনের ঢাকাস্থ কার্যালয়ে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
‘মানবাধিকার দিবস এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা আরো বলেন, বিগত তিন যুগ যাবত অস্ত্রবল, শক্তি ও হুমকির মাধ্যমে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ ক্যাডাররা বন্দুকযুদ্ধ, চাঁদাবাজী, মুক্তিপন, গুম, হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষের মানবাধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেন।
সভায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার মানবাধিকার বঞ্চিত বাঙালি ও উপজাতি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সমঅধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা ডা. মুখলেছুর রহমান, শীর্ষ নেতা প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক, লোকমান হোসেন, কামরুল ইসলাম, এডভোকেট কাজল বড়–য়া, উজ্জল দাশ, হাফেজ আহম্মদ, মানবাধিকার কর্মী এম আনোয়ারুল্লাহ, রোজিনা ইসলাম, তসলিমা তমা, মুক্তা চৌধুরী, জোৎস্না আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা শান্তি চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়িত হলে পার্বত্যবাসী বাঙালিদের অবস্থা বার্মার রোহিঙ্গাদের চাইতেও আরো খারাপ অবস্থায় পতিত হবে হলে আশংকা প্রকাশ করেন। সভায় পার্বত্যবাসী জনগনের মানবাধিকার এবং দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য সমঅধিকার আন্দোলনের পতাকাতলে শামিল হবার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো অফিস।