বিস্তৃত বনায়নের মাধ্যমেই আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে হবেঃ এমপি দীপংকর

349

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্ব আজ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ এবং হুমকির মুখে পড়ছে জনজীবন ও অর্থনীতি। এই খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে বিস্তৃত আকারে বনায়নের কোনো বিকল্প নেই। এমন মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি বলেন, আমরা নিজেরা নিষ্ঠুর হাতে প্রকৃতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি। প্রকৃতিকে বিধ্বস্ত করার কাজের মধ্যে বৃক্ষ নিধন অন্যতম এ ব্যপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচবো।

সোমবার (১৬ আগষ্ট) সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী ব্যাপক বনায়নের লক্ষ্যে চারা বিতরণ কর্মসূূচির অংশ হিসেবে রাঙামাটি বন বিভাগের উদ্যোগে৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়। বন বিভাগের শহরের ভেদভেদিস্থ কার্য্যালয়ের সামনে রাঙামাটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই চারা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি অঞ্চলের বন বিভাগের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চারা বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রঞ্জণ ঘোষ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা প্রমূখ।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক হাজার ছোট ছোট খাল ছিলো, ছোট ছোট ঝর্ণা ছিলো। এগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় গাছ কাটার ফলে এইসব খাল ও ঝর্ণা শুকিয়ে গিছে। আর এইসব ঝড়া ও ঝর্ণাগুলো জীবিত থাকার জন্য সব থেকে বড় প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে যে পাথর রয়েছে তা উত্তোলন করা যাবে না। আর আমাদের লোভের কারণে আমরা একদিকে গাছ কাটছি, ঠিক তেমনী করে আমরা ঝড়া ও ঝর্ণা থেকে পাথর উত্তোলন করছি। এতে করে প্রায় ২২ হাজারের মতো ছড়া ও ঝর্ণা আছে সেগুলোকে জীবিত করার জন্য ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে একটা সমিক্ষা করা হয়েছে এবং এই সমিক্ষার রিপোর্টে কি করে এইসব ছড়া ও ঝর্ণাগুলোকে বাঁচানো যাবে এবং পূর্ণজীবিত করা যাবে সেই জন্য একটা প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বের যে তহবিল ফান্ড সেখানে আবেদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এই বাজেট যদি আমরা পাই তা হলে মৃত ছড়া ও ঝর্ণাগুলো আছে সেগুলোকে আবারো পূর্ণজীবিত করতে সক্ষম হবো এবং এই জলবায়ুর উপরে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এটাকে আমরা আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো বলে আশা প্রকাশ করেন এমপি।

এ সময় রাঙামাটি বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।