বেতবুনিয়া ইউপি নির্বাচনে ভোট পূণঃ গণানার দাবি বিজীত সদস্য প্রার্থীর

371

॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বেতবুনিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে পুণঃ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। মোহাম্মদ আবছার নামের এই প্রার্থী ফলাফল পুর্ণঃ গণনা অথবা পুণ নির্বাচনের দাবিতে লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছে।

তারা দাবি করেছেন, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবছার (ফুটবল প্রতীক) পেয়েছেন ৪৩৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাবু পালিত (বাসু) (টিউবওয়েল ৪৫১ ভোট পেয়েছেল বলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই ফলাফল তারা মেনে নিতে পারেনি। তারা বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অভিযোগ উত্থাপন করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিষয়ে।

আবছারের পোলিং এজেন্ট মো. সেকান্দর বলেন আমার কাছ থেকে প্রিজাইডিং অফিসার বেলা ৩টার সময় ফলাফল বিবরনী শিটে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। কথা হয় প্রার্থী মোহাম্মদ আবছারে সাথে তিনি বলেন নির্বাচনের পরের দিন আমাদের ভোট কেন্দ্র নতুনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হতে একটি খালি ভোটের বাক্স্ পাওয়া যায় যা পরবর্তীতে আনসার ভিডিপির সদস্যারা উদ্বার করে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পৌছে দেন। তা ছাড়া এই ভোট কেন্দ্রের পিছনে একটি ছিড়া ফলাফল শিটের কাগজ পাওয়া যায়। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ওয়ার্ডে (পুনরায় ভোট গ্রহন) নির্বচন চাই যদি নির্বাচনে আমি না হই আমার কোন দু.খ নেই। অন্যদিকে অপর বিজয়ী প্রার্থী বাসু পালিত বলেন আমি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমার ছোট ভাই এস আই রাজু পালিত এ ধরনের কোন কাজ করেনী।

এব্যাপারে নতুনপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো.সেলিম উদ্দিন বলেন আমরা চেষ্টা করেছি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সেটা করেছি। সাড়ে তিনটার সময় আবছারের পোলিং এজেন্ট মো. সেকান্দর হতে ভোটের ফলাফল শিটে স্বাক্ষর বিষয়ে তিনি জানান পরবর্তীতে সময় নাও পেতে পারি এজন্য নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন কারো কোন অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে আমাকে দিলে আমি তা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিব। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেয় তা আমি পালন করবো বলে তিনি জানান।