বেতবুনিয়া ঈদগাহ মাঠে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

118

॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥

কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় পবিত্র ঈদ- এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে এক আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল সোমবার রাতে বেতবুনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বোয়ালখালী চরণদ্বীপ দরবার শরীপ নায়েবে মোন্তাজেম শাহজাদা শেখ আবু মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ফারুকী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারি রহমানিয়া মইনিয়া মন্জিল সাজ্জাদানশীন রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরিকত, পেশোয়ায়ে আহলে সুন্নত, আলহাজ্ব শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ।

এতে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সামশু দোহা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এরশাদ সরকার, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন চট্টগ্রাম বোয়ালখালী গুমদন্ডী দরবার শরীপ সাজ্জাদানশীন শাহজাদা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভান্ডারি। উদ্ভোধক ছিলেন কাউখালী বেতবুনিয়া কেন্দ্রীয় জামেমসজিদ খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। বিশেষ ওয়ায়েজিন ছিলেন বেতবুনিয়া গাউছিয়া আহমদিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম আল কাদরী। আরো ওয়ায়েজ করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন রেজা তাহেরি, মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সিকদার, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল হাসান আলকাদেরী,মাওলানা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ শাহ আলম, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান সহ আরো অনেকে।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহফিল উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সেলিম, মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুল করিম। সাংবাদিক মোঃ ওমর ফারুক, সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মোহসীন, মোঃ ইব্রাহিম। মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়া মইনিয়া যুব ফোরাম বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শাখা ও এলাকা বাসির যৌথ উদ্যোগে। ওয়াজ মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে দোয়া করা হয় এবং তবরুক বিতরণ করা হয়।

এসময় ওয়াজ মাহফিলে কাউখালী উপজেলার ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা হতে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।