॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সমঅধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বনরূপার কাঠালতলী হতে নেতাকর্মীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত অভিষেক ও আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ ফরাজী সাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব ও সাবেক বাঘাইছড়ি পৌরসভা মেয়র আলমগীর কবির, নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, কাজী মুজিবুর রহমান, এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, শেখ আহমেদ রাজু এবং ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তি বিগত সময়ে এই এলাকার ছাত্র সংগঠনগুলোর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সকল সদস্যগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবো।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সর্বত্র পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি, বাঙালী ও ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠিদের মাঝে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। নীতিনির্ধারকগণকে এই বৈসম্যমূলক নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলকাছ আল মামুন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সকল সাহসী যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন কারণে পার্বতাঞ্চলের পূর্বেকার সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরী হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ এর ব্যতিক্রম হবে। তাদের মেধা ও প্রখরতা দিয়ে এই অঞ্চলের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কমিটি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো জানান, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক নীতির পরিবর্তে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।